০৮ জুন ২০১৬

পীরগাছার ২ অপ্রাপ্ত ছেলে মেয়েকে নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে টানা হ্যাচড়া

পীরগাছার জুয়ান নামক গ্রামের জ্ঞানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী শাবানা আক্তার এবার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী তথা জ্ঞানগঞ্জ সিনিয়র মাদরাসার ছাত্র মোঃ হাফিজার রহমানকে ফেসে ফেলে ভালোবাসার অভিনয়ের মাধ্যমে। সম্প্রতি ৭ই মে রাতে অসহায় হাফিজারকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। জনমনে প্রশ্ন হাফিজার যেহেতু ১২-১৩ বছরের ছেলে জন্ম নিবন্ধন ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে জন্ম তারিখ ২১/০৬/২০০৩ ইং।  অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে শাবানার জন্ম নিবন্ধন তারিখ ০১/০২/২০০০ ইং।  শাবানা আক্তার একজন নিয়মিত জ্ঞান গঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ছাত্রী। উভয়েরই বয়স নিবন্ধন সুত্রে অপ্রাপ্ত বলে জানা গেছে।

এদিকে হাফিজার বাড়িতে নেই কোথায় গেছে বাড়িতে পুলিশ আসে। এ বিষযে হাফিজারের দাদি তথা বাহাদুর মেম্বারের মা জফফুল বেওয়া নাতীকে কাছে না পেয়ে কাতর হয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের নিকট এবং তাহার ছেলের নিকট হাফিজারকে খুজে বের করার জন্য দাবী জানান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, একমাত্র নাতীকে বাড়িতে না পেয়ে দাদী অসুস্থ হয়ে পরে। এক পর্যায়ে নাতীর শোকে ১৯/০৫/২০১৬ ইং তারিখে মৃত্যু ঘটে। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গিয়ে জানা যায় হাফিজারের শোকে দাদীর অকালমৃত্যু। এ ঘটনাকে ঘিরে অত্র ছাওলা ইউনিয়নের জুয়ান নামক গ্রামে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় চলছে। জনমনে প্রশ্ন হাফিজারের বয়স যেহেতু অপ্রাপ্ত অপরদিকে মাদরাসা পড়–য়া ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অধ্যায়নরত ছাত্র। এছাড়াও জুয়ান গ্রামের ছামছুল হকের মেয়ে জ্ঞানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর স্কুল পড়–য়া মেয়ে মোছাঃ শাবানা আক্তার আইনগত ভাবে নাবালিকা। তাদের পরস্পরের মধ্যে সিনেমা স্টাইলের ভালোবাসার ঘটনাটি যেহেতু কোন পরিচালক নেই সেই মর্মে উভয় পরিবারের মধ্যে সামাজিকভাবে শান্তি ফিরিয়ে আনাতে গ্রামের মহৎ ব্যাক্তি চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে নিস্পত্তি করার আশু প্রয়োজন। আগামী সংখ্যায় ২ ছাত্র ছাত্রীর নেপথ্য কাহিনী ধারাবাহিকভাবে প্রশাসনের শুভ নেক দৃষ্টি কামনা করে দৈনিক পরিবেশে প্রকাশ করা হবে।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি