০৮ মার্চ ২০১৭

পীরগাছার তালুক ইশাদে অস্ত্রের আঘাতে এক যুবক আহত

পীরগাছার তালুক ইশাদ গ্রামে জমিজমাকে কেন্দ্র করে মান্নান গংদের হাতে মরহুম আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেনের যুবক পুত্র শেরে বাংলা ফজলুল হক (৩৭) কে অস্ত্র দ্বারা মাথায় গুরুত্বর জখম করে। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত শেরে বাংলাকে চিকিৎসার জন্য পীরগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে ন্যায় বিচার চেয়ে চিকিৎসাধীন শেরে বাংলা ফজলুল হক বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় একটি ইজাহার পুলিশের নিকট দাখিল করেন। পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনর বিষয়টি এস আই জুয়েলকে তদন্ত সহ উভয় পক্ষের চিকিৎসাধীন রোগীদের অবস্থা দেখার জন্য নির্দেশ প্রদান করলে এসআই জুয়েল হাসপাতালে এসে আহত বাংলা সহ সকলকে দেখেন। মারামারি চলাকালিন মোবাইলফোনে পীরগাছ থানা অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন অবগত হলে এলাকার শান্তিশৃক্সখলা বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে দ্রুতগতিতে পুলিশ প্রেরণ করেন। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত শান্তি শৃক্সখলা ভালো বলে জানা গেছে।

২৩ আগস্ট ২০১৬

পীরগাছায় মরা গরুর মাংস বিক্রি। হাতেনাতে আটক কশাই ।

মরা গরুর মাংস বিক্রির দায়ে গত ২১শে আগষ্ট রবিবার সাতদরগা বাজারের প্রকাশ্যে গোস্ত বিক্রি করতে থাকে। লোকজনের সন্দেহ হলে মাংস বিক্রেতা কশাইয়ের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতক্ষ্যদর্শী কয়েকজন যুবক চ্যালেঞ্জ করে। পরক্ষনে শতশত লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে জানাজানি হলে গোস্তগুলো কশাই এর দোকান থেকে জব্দ করার পর তরিঘরি করে মাটি খুরে পুতে রাখে। কশাইয়ের জরিমানা করা হয়েছে মরা গরুর মাংস বিক্রির দায়ে।

সাতদরগা বাজারে মরা গরুর মাংস দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাদু কশাইরা। মাংস বিক্রি করার পূর্বে এবং জবাই করার পূর্বে সরকারিভাবে নিয়মনীতি থাকলেও করা হয়না রহস্যজনক করানে। সস্তার দুরঅবস্থা এই হলো আমাদের এলাকার পরিস্থিতি। কেউ বিক্রি করে ৪ শত ২০ টাকা কেজি আবার কেহ বিক্রি করে সন্ধার ৩ শত ২০ টাকা। রক্ষকই ভক্ষক যার ফলে কশাইয়ের মধ্যে গরুর মাংস বিক্রি শুধু ভেজাল নয়। সর্বক্ষেত্রেই দূর্ণিতি ছেয়ে গেছে। অর্থই হল অনার্থের মুল। যার ১ লক্ষ টাকা আছে সে ব্যক্তি চিন্তা করে আগামী দিনে আমার সংসারে ৫ লাখ টাকা তবিল করা যায়। সাতদরগার প্রবীন কশাই ম্জঃ রশঃ সহ আরো অনেকে দীর্ঘদিনধরে মরা গরুর মাংস বাহিরে জবাই করে ফ্রিজে জমা রেখে দিব্যি বিক্রি করছেন। আর এ মাংসগুলো খাচ্ছেন অনেক নেতা এবং সাধারন জনগন। আগামী সংখ্যায় ঐ ৩ জন সাতদরগার কশাইয়ের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা লিখে দৈনিক পরিবেশে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। মরা গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সাতদরগা বাজারে এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলার বড় বড় গডফাদাররা অবগত। কে দূর্ণিতি করে না। এ ধরনের ব্যাক্তি আমাদের উপজেলা কতজন ভাগ্যবান ব্যাক্তি রয়েছে।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

০৮ জুন ২০১৬

পীরগাছার ২ অপ্রাপ্ত ছেলে মেয়েকে নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে টানা হ্যাচড়া

পীরগাছার জুয়ান নামক গ্রামের জ্ঞানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী শাবানা আক্তার এবার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী তথা জ্ঞানগঞ্জ সিনিয়র মাদরাসার ছাত্র মোঃ হাফিজার রহমানকে ফেসে ফেলে ভালোবাসার অভিনয়ের মাধ্যমে। সম্প্রতি ৭ই মে রাতে অসহায় হাফিজারকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। জনমনে প্রশ্ন হাফিজার যেহেতু ১২-১৩ বছরের ছেলে জন্ম নিবন্ধন ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে জন্ম তারিখ ২১/০৬/২০০৩ ইং।  অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে শাবানার জন্ম নিবন্ধন তারিখ ০১/০২/২০০০ ইং।  শাবানা আক্তার একজন নিয়মিত জ্ঞান গঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ছাত্রী। উভয়েরই বয়স নিবন্ধন সুত্রে অপ্রাপ্ত বলে জানা গেছে।

এদিকে হাফিজার বাড়িতে নেই কোথায় গেছে বাড়িতে পুলিশ আসে। এ বিষযে হাফিজারের দাদি তথা বাহাদুর মেম্বারের মা জফফুল বেওয়া নাতীকে কাছে না পেয়ে কাতর হয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের নিকট এবং তাহার ছেলের নিকট হাফিজারকে খুজে বের করার জন্য দাবী জানান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, একমাত্র নাতীকে বাড়িতে না পেয়ে দাদী অসুস্থ হয়ে পরে। এক পর্যায়ে নাতীর শোকে ১৯/০৫/২০১৬ ইং তারিখে মৃত্যু ঘটে। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গিয়ে জানা যায় হাফিজারের শোকে দাদীর অকালমৃত্যু। এ ঘটনাকে ঘিরে অত্র ছাওলা ইউনিয়নের জুয়ান নামক গ্রামে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় চলছে। জনমনে প্রশ্ন হাফিজারের বয়স যেহেতু অপ্রাপ্ত অপরদিকে মাদরাসা পড়–য়া ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অধ্যায়নরত ছাত্র। এছাড়াও জুয়ান গ্রামের ছামছুল হকের মেয়ে জ্ঞানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর স্কুল পড়–য়া মেয়ে মোছাঃ শাবানা আক্তার আইনগত ভাবে নাবালিকা। তাদের পরস্পরের মধ্যে সিনেমা স্টাইলের ভালোবাসার ঘটনাটি যেহেতু কোন পরিচালক নেই সেই মর্মে উভয় পরিবারের মধ্যে সামাজিকভাবে শান্তি ফিরিয়ে আনাতে গ্রামের মহৎ ব্যাক্তি চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে নিস্পত্তি করার আশু প্রয়োজন। আগামী সংখ্যায় ২ ছাত্র ছাত্রীর নেপথ্য কাহিনী ধারাবাহিকভাবে প্রশাসনের শুভ নেক দৃষ্টি কামনা করে দৈনিক পরিবেশে প্রকাশ করা হবে।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

৩০ মে ২০১৬

পীরগাছায় স্ত্রীর পরকিয়ায় নাটকিয় মামলা, সাংবাদিক সহ গ্রেফতার ৩


পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়নে গলা কেটে যুবক হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রেমিকের পরিবার মামলাটিকে ভিন্নখাতে নেয়ার কৌশল হিসেবে নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগমকে বাদী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এইদিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সেই সূত্র ধরে পর দিন আব্দুল জব্বার ও নিহতের স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমিক জীবন মিয়াকে আটক করে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে থানা হাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পীরগাছা থানার অফিসার ইন্চাজ আমিনুল ইসলাম জানান।

এঘটনায় পুলিশ নিহতের আপন ভগ্নিপতি ডেইলি নিউ নেশন পত্রিকা ও সাবেক ‘দৈনিক প্রথম আলো’পত্রিকার প্রতিনিধি মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠান।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলাম মাষ্টারের ছেলে রাসেল মিয়া (২৮) দীর্ঘ দিন ধরে সব ধরনের মাদক সেবন সহ অপরাধ জগতের সাথে জড়িত। এছাড়াও সে জাল ডলার ব্যবসায়ী চক্রের সাথে জড়িত হয়ে অন্ধকার জগতে জড়িয়ে পড়ে। এই কারনে প্রায় রাতে রাসেলের বাড়িতে অপরিচিত লোকজনের যাতায়াত রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও মাঝে মধ্যে তার বাড়িতে নেশার জগতের লোকজন নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকের আসর বসত। এনিয়ে একই বাড়িতে বসবাসরত ভগ্নিপতি সাংবাদিক মকবুল হোসেন ও শ্যালক রাসেলের সাথে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি পারিবারিক বিরোধে রুপ নিলে একে অপরের ঘরে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়।

এই দিকে নেশার জগতের সন্ত্রাসী নারী লোভী জীবন মিয়া নামের এক যুবক যাতায়াতের মাঝে রাসেল মিয়ার স্ত্রী শিল্পী বেগম এর উপর কুনজর পড়লে এক সময় জীবন মিয়ার সাথে শিল্পী বেগম পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা প্রকাশ পেলে মাঝে মধ্যে নিহত রাসেলের মায়ের সাথে পুত্র বধুর ঝগড়া হয় বলে এলাকা বাসি জানায়। এই ব্যাপারে রাসেলের মা ...............র সহিত কথা বললে তিনি জানান ঘটনার চারদিন পূর্বে গভীর রাতে রাসেল বাড়িতে না থাকার সুযোগে পুত্র বধুর প্রেমিক জীবন মিয়া শিল্পী বেগমের ঘরে ঢুকলে শ্বশুড়ী হাতে নাতে ধরে ফেলে। এই ঘটনায় পুত্রবধু শ্বাশুড়ীর মাঝে ঝগড়া বাঁধলে এলাকার লোকজন জানা জানি হয়।  

অপর দিকে ঘটনার পর দিন শনিবার সকালে নিহত রাসেলের স্ত্রী শিল্পী বেগম প্রতিবেশিদের জানায় গভীর রাতে তার
স্বামীর কয়েক জন বন্ধু বাড়িতে এসে তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে জরুরী কথা আছে বলে রাসেলকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর অপরিচিত ৩-৪ জন তার শয়ন কক্ষে ঢুকে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চলালে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এতে তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে যায়। এক পর্যায়ে অপরিচিতরা তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।

এইদিকে বাড়িতে বসবাসকারী নিহত রাসেলের বড় বোন রুনা লায়লা জানান, তার ছোট ভাই রাতে নিখোঁজের খবর সকালে শিল্পী বেগমের মুখে শোনার পর নিহত রাসেলের সন্ধান করতে থাকলে লোক মুখে শুনতে পান বাড়ির পার্শ্বে আবাদী জমিতে তার ছোট ভাইয়ের গলা কাটা লাশ পড়ে আছে। পরবর্তিতে পীরগাছা থানা খবর পেয়ে লাশ উর্দ্ধার করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করেন। এব্যাপারে নিহতের বড়বোন রুনা লায়লা অভিযোগ করে বলেন তিনি ও তার মা প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলেও দিনভর নানা নাটকীয়তা চলে। পরবর্তিতে রাসেলের স্ত্রী শিল্পী বেগম প্রেমিকের পরিবারের কথামত নিজে বাদী হয়ে ধর্ষন চেষ্টার প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে একটি সাজানো মামলা দায়ের করে। এইদিকে নিরুপায় নিহতের মাতা ও তার বড়বোন সংশ্লিষ্ট আইন রক্ষাকারী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনায় সঠিক তদন্তের দাবী করেছেন।

রিপোর্টারঃ কাজী শহীদুল ইসলাম, মোবাঃ-০১৭১৬-৯৩৪২০০

১০ মে ২০১৬

পীরগাছার ইটাকুমারীতে বর্তমান চেয়ারম্যান ভোট পেলেন মাত্র ১৬৪

৩নং ইটাকুমারী ইউনিয়নের এরশাদের লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করেন আব্দুল কাদের প্রধান। ইটাকুমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী ৫ হাজার ৬ শত ৪৭ ভোট পেয়ে সরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

 নৌকা মার্কার প্রার্থী ইটাকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম ৪ হাজার ১শ ৭৪ ভোট পেয়ে পরাজয় বরন করেন।

বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক ধানের শীষ মার্কা ৩ হাজার ৮শ ৮৮ ভোট পেয়ে পরাজয় বরন করেন।

ওয়ার্কাস পার্টী হাতুরী মার্কা ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী কালীগঞ্জ বাজারের মোঃ ওয়াদুদ ভূইয়া ৩শ ৩১ ভোট পেয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন।

ইসলামী আন্দলন বাংলাদেশ মনোনিত হাতপাখা মার্কা প্রার্থী ৪শ ৪৭ ভোট পেয়ে নিজের দলের কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

বর্তমান ইটাকুমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিদুল হক ঘোড়া মার্কার বিদ্রোহী প্রার্থী ১শ ৬৪ ভোট পেয়ে আবারো চেয়ারম্যান হবার স্বপ্ন তার চুরমার হয়ে যায়।

মোঃ আদম আলী চোশমা মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাটা কেষ্ট ৬শ ৫৫ পেয়ে ব্যপক আলচিত হন।

বর্তমান চেয়ারম্যান জসিদুল হকের শিক্ষিত পুত্র স্বতন্ত্র আনারশ মার্কার প্রার্থী মাত্র ১৩ ভোট পেয়ে বাপ ব্যাটাকে নিয়ে অত্র ইউনিয়নবাসী ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন। জনগন সকল ক্ষমতার উৎস তাই এই পরিণতি জসিদুল চেয়ারম্যানের পরিবারের মধ্যে।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

০৩ মে ২০১৬

পীরগাছা ইউনিয়নের ৩টি ভোট কেন্দ্রে শান্তিভঙ্গের আশংকা


আগামী ৭ই মে নির্বাচন চলাকালীন সহিংসতা হতে পারে বলে ভোটারদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তন্মধ্যে জমানবিশ বালিকা দাখিল মাদরাসা নামক সেন্টারে প্রভাবশালী দুই প্রার্থীর মধ্যে সহিংশতার ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন শান্তিপ্রিয় ইউনিয়নের মানুষগুলো।

নগরজীৎপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট চলাকালনি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে শান্তিভঙ্গের আশংকা রয়েছে। এ কেন্দ্রে পুলিশ প্রশাসন সহ দায়িত্বে নিয়োজিত মেজিষ্ট্রেডকে কঠোরভাবে নজর রাখতে হবে।

অপরদিকে তালুক ঈষাদ ফকির টারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ভোট চলাকালনি অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন অত্র এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগন। এ ভোট কেন্দ্রে আইন শৃক্সখলা বাহিনি সার্বিক দায়িত্ব পালন করলে কোন প্রকারের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটবেনা বলে মনে করেন অত্র এলাকার ভোটারগন।

আওয়ামীলীগের তথা বিভিন্ন প্রাথীদের আলোচনা সভায় জমানবিশ বালিকা দাখিল মাদরাসা ভোট কেন্দ্রটিকে ঘিরে বক্তাগন বিরুপ মন্তব্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন এই জমানবিশ কেন্দ্রটি  যেহেতু দুই নেতার ভোট কেন্দ্র। প্রশাসনকে কঠোরভাবে নজর রাখার পাশাপাশি ভ্রাম্যমান মেজিষ্ট্রেড টিম রাখার দাবি জানান সর্বস্তরের শান্তিপ্রিয় জনগন।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

২৭ এপ্রিল ২০১৬

পীরগাছায় ছাত্রীকে ইভটিজিং এর দায়ে জেল ও জরিমানা


ইভটিজিং এর দায়ে পীরগাছা ভ্রাম্যমান আদলতের নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট মোছাঃ আলীয়া ফেরদৌস জাহান ৪৩ বছরের মমতাজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে জেল জরিমানা করেন। বড়দরগা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী মণিষা আক্তারকে উক্ত মমতাজ উদ্দিন রাস্তার মধ্যে ইভটিজিং করার দায়ে তাকে আটক করে জনগন। উল্লেখ্য যে, মণিষা তার বান্ধুবি সহ কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় ইভটিজিং এর  স্বীকার হন। অতপর জনগন উত্তেজিত হয়ে মনতাজকে তার মটোরসাইকেল সহ আটক করে উত্তম মাধ্যম কিল ঘুষি মারে।

পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম ইভটিজিং এর মামলাটি এস আই শরিফুলের উপর দায়িত্ব ভার অর্পন করেন। পুলিশ কর্মকর্তা মামলাটি ভ্রাম্যমান আদালতে প্রেরণ করেন। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ইভটিজিং এর স্বীকার মনিষার জবানবন্দি সহ আসামী সাব কন্টাকটার মমতাজ উদ্দিনের জবানবন্দী সহ সাক্ষীর জবানবন্দী শোনার পর ১৫ দিনের জেল অনাদায়ে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মমতাজ উদ্দিন একজন সাব কন্ডোকটার বলে ভ্রাম্যমান আদালতের মেজিষ্টেটকে জানান। আদালত চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাকিম সর্দার, কল্যাণী ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান নূর আলমসহ নব্দীগঞ্জ এলাকার জনগন। মমতাজ উদ্দিন ছাত্রীদের উত্যাক্ত করার বিষয়টি এবং এই বয়সে জনগনের গনধোলই স্বীকারের বিষয়টি নব্দীগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি