২৫ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় পিএসসি পরীক্ষা চলাকালীন ২ কেন্দ্রে ৪ শিক্ষককে বহিষ্কার

সারা দেশের ন্যায় পীরগাছা উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) ও ইফতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা পীরগাছার ৯টি ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৬ হাজার ২শ ৭৮ পিএসসি পরীক্ষায় ও ৮শ ৪৮ জন ইফতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আলীয়া ফেরদৌস জাহান, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) নাছিম আহম্মেদ, পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিক উজ্জামান সার্বিক দায়িত্ব সহ প্রশাসনিক দায়িত্ব যথার্থভাবে পালন করছেন কেন্দ্রসমূহে গিয়ে।

পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে চৌধুরাণী কৈকুড়ি ইউনিয়নের চৌধুরাণী পিএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ৩ জন শিক্ষককে বহিস্কার। কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন অসদ উপায় অবলম্বনের দায়ে পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ১জন হল সুপারকে বহিস্কার করা হয়।

এদিকে কল্যানী ইউনিয়নের বড়দরগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্বে নিয়োজিত কেন্দ্র সচিব সুফিয়া বেগম পরীক্ষা চলাকালীন যথাযথ ভূমিকা পালন করছেন। কল্যাণী ইউনিয়নে ৫শ ৬৮জন পিএসসি অপরদিকে মাত্র ৩৬জন ইফতেদায়ি পরীক্ষার্থী অংশনিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা দিচ্ছেন। হল সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ ইকবাল, প্রধান শিক্ষক অন্নদানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সৈয়দপুর নয়াহাট কেন্দ্রে পিএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষাথীদের সংখ্যা ৭শ ১২জন, ইফতেদায়ি পরীক্ষাথীদের সংখ্যা ৩৩জনের মধ্যে ২৯জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছেন বলে কেন্দ্র সচিব নূর জাহান বেগম সাংবাদিক মুন্সিকে সাক্ষাতে জানান। পরীক্ষা চলাকালীন কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ কেন্দ্রে মেজিষ্ট্রেসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান।

কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫শ ৫৮জন পিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছেন। ইফতেদায়ী শাখায় মাত্র ৩০জন। কালিগঞ্জ পরীক্ষা কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন কালিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক সালেহা বেগম। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত।

সতদরগা পরীক্ষাকেন্দ্রে ৭শ ৪৬জন পিএসসি পরীক্ষার্থী ইফতেদায়ী শাখায় ৮০জন অংশগ্রহন করছেন। কেন্দ্র সচিব হিসাবে সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন সাতদরগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাজাহান। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সাতদরগায় পিএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত।

ছাওলা ইউনিয়নের কুটিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২শ ৩১জন পিএসসি পরীক্ষা অংশগ্রহন করছেন বলে কেন্দ্র সচিব মোঃ ছাদেকুল ইসলাম পরীক্ষা চলাকালীন যথযথ ভূমিকা পালন করছেন। কুটিপাড়া কেন্দ্রে ইফতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১শ ৩৪জন শন্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখছেন। তাম্বুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিএসসি পরীক্ষায় ১ হাজার ১১ জন ইফতেদায়ী শাখায় ১শ ২৫জন অংশগ্রহন করছেন। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন খাদিজা আক্তার। সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ কেন্দ্রে।

পীরগাছা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিএসসিতে ৯শ ৮০জন ও ইফতেদায়ী শাখায় ১শ ৭৭জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছেন। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান মেজিষ্ট্রেসি হিসাবে যথাযথভাবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভূমিকা রাখছেন। চৌধুরাণী কেন্দ্রে ৮শ ৪১জন পিএসসি পরীক্ষায় অপরদিকে ইফতেদায়ী শাখায় ৭৩জন অংশগ্রহন করছেন। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন সনিয়া আনছাড়ী।

কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫শ ৩১জন ইফতেদায়ী শাখায় ১শ ৬০জন নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্র লেখছেন। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন সরকার মাছুদুর রহমান।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

২৩ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় এক যুগ পর ইউপি নির্বাচন

সীমানা নিয়ে দীর্ঘ জটিলতার অবসান হওয়ার মধ্য দিয়ে অবশেষে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। দীর্ঘ এক যুগ পর হচ্ছে এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে উৎসবের আমেজে মেতেছে গোটা ইউনিয়ন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর কল্যাণী ইউনিয়নের গোদা সিমলা ও কলাবাড়ি এলাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় সীমানা এবং আইনগত নানা জটিলতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। সীমানা নিয়ে জটিলতা অবসানের পর গত ২১ মে ইউপি নির্বাচনের গেজেট প্রকাশিত হয়। ১২ নভেম্বর ঘোষিত হয় নির্বাচনের তফসিল। আগামী ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ ইউনিয়নে ভোটার আছেন ১৬ হাজার ১৪৬ জন। এর মধ্যে নারী ৮ হাজার ৭৪ ও পুরুষ ৮ হাজার ৭২ জন। ভোট কেন্দ্র আছে ১০টি।

সরেজমিন গতকাল রোববার সকালে ইউনিয়নটিতে গেলে সেখানে নির্বাচনী আমেজ দেখা যায়। ভোটারদের মধ্যে দেখা যায় উৎসাহ-উদ্দীপনা। নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী না থাকলেও দলীয় নেতা-কর্মীরাও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থনে মাঠে কাজ করছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, পুরুষদের চেয়ে নারী ভোটারদের তৎপরতা বেশি। মনোনয়নপত্র জমা হওয়ার আগেই প্রার্থীদের পক্ষে দোয়া চেয়ে নারী সমর্থকেরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। আর পুরুষ ভোটাররা চায়ের স্টলগুলোতে আড্ডায় ব্যস্ত।
সাত দরগা এলাকার গৃহিণী রোকসানা পারভিন বলেন, ‘ভোটার অনেক আগোত হইছি। কিন্তু ভোট দিবার পারি নাই। এইবারই প্রথম ভোট দেমো। খুব আনন্দ লাগছে।’

একই এলাকার কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, ‘এত দিন পর ভোট। ভালো মানুষোক ভোট দেমো।’ নির্বাচন না হওয়ায় গত এক যুগ ধরে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন কাওসার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমারও ভালো লাগছে যে শেষ পর্যন্ত সীমানা জটিলতার অবসান হয়ে নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’

সোর্সঃ প্রথম আলো

২১ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় অবৈধ কোচিং সেন্টারের রাজত্ব সাথে অবৈধ শিক্ষক ছাত্রীর সম্পর্ক

পীরগাছায় শিক্ষার নামে এসব কি হচ্ছে! সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করা হচ্ছে! অথচ ওদের ব্যবসা জমজমাট। সম্প্রতি শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষা মান উন্নয়নে আলোচনা সভায় বিভিন্ন শিক্ষক বক্তব্যে কোচিং সেন্টারের বিষয়ে অভিযোগ তোলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান ভাল না থাকায় সুশিক্ষার জন্য কোচিংয়ে ছুটে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী।

এক শ্রেনীর শিক্ষক ক্লাসের মধ্যে অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রীদেরকে সুশিক্ষা না দিয়ে কোচিং ও প্রাইভেট শিক্ষার নামে অবৈধভাবে সরকারী শিক্ষানীতিকে তোয়াক্কা না করে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কোচিং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যেসব শিক্ষক এ ধরনের ব্যবসায় জরিত এদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নিলে একদিকে যেমন ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা প্রাইভেট ও কোচিং বন্ধ হবে অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা সুশিক্ষা পাবে বিজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে।

কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার নামে কোচিং-এর কতিপয় অবিবাহিত যুবক শিক্ষক একদিকে তারা কোচিং এর ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো শিক্ষার মান উন্নয়ণে নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কোচিং এ এসএসসি, এইচএসসি’র অধ্যয়নরত ভর্তি কোচিং-এ ছাত্র ছাত্রীদের সহিত শিক্ষার নামে প্রতারণা করে আসছে। সরেজমিনে এসব কোচিং এর নামধারী যুবক শিক্ষকদের ব্যাপারে জানা গেছে, এসব কোচিং-এর শিক্ষকগণ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়–য়া ছাত্র নয়। এসব শিক্ষক (ছাত্র) স্থানীয় কোন একটি কলেজের অধ্যয়নরত ছাত্র এসএসসি পাশ অথবা এইচএসসি পাশ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পড়ার ফাঁকে উক্ত কোচিং-এর অবিবাহিত যুবকটি ছাত্রীদের নিকটে সময়ের জন্য কথা বলতে তার হাতে নির্দিষ্ট মোবাইল ফোনটির নাম্বার নিয়ে তার মোবাইলে সীমা, এসএ, তাম্মী বিভিন্ন নামের সংকেত মোবাইলে সেভ করে উক্ত শিক্ষক তার কোচিং-এ পড়া মেয়েটির সঙ্গে গভীর রাতে অবৈধভাবে প্রেমের সংলাপ করে। এদিকে অবুঝ অবলা নারীটি জানেনা উক্ত ভন্ড কোচিং-এর শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার নামে কোচিং-এ গিয়ে জড়িয়ে পড়বে প্রেম সাগরে। মা-বাবা জানেনা তাদের আদরের সুন্দর মেয়েটি পীরগাছা এবং রংপুরের নামীদামি কোচিং-এ লেখাপড়ার ফাঁকে সর্বনাশের পথে চলে গেছে জড়িয়ে পড়েছে কোচিং-এ প্রতারক শিক্ষকের মোবাইল প্রেমে।

মোবাইল প্রেমের সংখ্যা কোচিং সেন্টারে যেমন তেমন বেকারত্ব যুবকরা মোবাইল প্রেমে আসক্ত হচ্ছে মোবাইল যাদের হাতে রয়েছে সেই সব ছাত্রীদের সঙ্গে। বিশেষ করে পীরগাছা উপজেলার প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য যে হারে চলছে তাহা মনে হয় না যে, মেধাবী শিক্ষকগণ বিধি মোতাবেক এমনিতে শিক্ষক পদে নিয়োগ পাচ্ছেন। কতিপয় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুল চলাকালীন সময়ে গোল্ডলিফ সিগারেট, ব্যানসন সিগারেট সহ বিভিন্ন সিগারেট প্রতি ঘন্টায় কমপক্ষে ৫টা থেকে ১০টা পান করেন। যাহার বাস্তব প্রমান এ প্রতিনিধি সাংবাদিক মুন্সির ক্যামেরায়।

উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রধান শিক্ষক সমূহে বিভিন্ন পদে শিক্ষক নিয়োগ অনেক প্রতিষ্ঠানে অযোগ্য হালকা পাতলা প্রধান শিক্ষক তৃতীয় শ্রেনীর সার্টিফিকেট দ্বারা প্রধান শিক্ষক পদে টাকার বিনিময়ে চাকুরীতে নিয়োগ পাওয়ায় অধ্যয়নরত সহকারী শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে সমালোচনা করেন। উল্লেখ্য যে, রাজনীতি অঙ্গনে যেমন প্রত্যেকটি বিষয়ে স্বচ্ছলতার মাঝে ফিটনেস বডি যেমন আশু প্রয়োজন তেমনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হতে হলে চতুর্দিকে শিক্ষার পাশাপাশি ফিটনেস বডিরও প্রয়োজন বলে সহকারী শিক্ষকগন সমালোচনা করেন।

দূর্নীতি, অনিয়ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দূর কি হবে? চলতি ২০১৫ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে প্রধান শিক্ষকগণ উচ্চ আদালতের নির্দেশ তোয়াক্কা না করে মনগড়া মতে ১১শ টাকার স্থলে ২৫শ টাকা হতে ৩হাজার টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত টাকাগুলো সভাপতি প্রধান শিক্ষক সহ হাতে গোনা কয়েকজন ভাগ বাটয়ারা করে মাছ মাংশ কিনে খায়, আর কেউ বাড়ির টাইলস সহ সোপাসেট কিনে নেয়। পীরগাছা উপজেলার শতকরা ৯০ জন প্রধান শিক্ষক উচ্চ আদালতের আইন মানছে না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন।

উল্লেখ্য যে, মা-বাবা সন্তানদেরকে বুক ভরা আশা নিয়ে ভবিষ্যত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এবং কোচিং-এ পাঠাচ্ছে। কিন্তু এক শ্রেনীর নারীলোভী শিক্ষক সর্বনাশ করছে লাবণ্যময় চেহারা দেখে ছাত্রীদের ভবিষ্যত জীবন ও যৌবন। যার বাস্তব প্রমাণ বড়দরগা এলাকার শাজাহান আলী নামের সেই প্রথান শিক্ষক আবারো ছাত্রী কেলেঙ্কারীতে জড়িত হয়ে বড়দরগায় শিক্ষকদের মধ্যে এবং ঘটনাস্থল সাহেবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যপক সমালচনা চলছে প্রধান শিক্ষক শাজাহানকে নিয়ে।

অপরদিকে শিক্ষক হয়ে ধর্ম মেয়ের সহিত অসামাজিক কাজে ধরা পড়ায় হাজার হাজার টাকা জরিমানার বিষয়টি সৈয়দপুর বাজারে ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। উক্ত নামধারী শিক্ষক একজন নারী কেলেঙ্কারীর হোতা। আর অবশেষে রংপুর শহরে সুন্দরী ধর্মবেটির (ছাত্রী) সঙ্গে ধরা পরায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। রাজবাড়ী পাকারমাথায় শিশির কুমারের গড়ে ওঠা মেধা বিকাশ শিশু নিকেতন প্রতিষ্ঠানটি সুযোগ্য পরিচালক থাকার ফলে অপরদিকে অভিজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকা পাঠদানের জন্য শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠভাবে সুশিক্ষা পাচ্ছে।

গোপাল মাষ্টারের বাড়ির সংলগ্ন কোচিং সেন্টারে অন্যান্য কোচিং এর চেয়ে কোচিং এর শিক্ষকগন বিজ্ঞ হওয়ায়, যার ফলে পীরগাছা জেএন সহ নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগন গোপাল মাষ্টারের বাড়ির কোচিং সেন্টারে শিক্ষা লাভ করছে। একমাত্র গোপাল মাষ্টারের বাড়ির কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোন অভিযোগ নেই। মেধা বিকাশ শিশু নিকেতন প্রতিষ্ঠানটিও শিক্ষার সুনাম ছড়িয়েছে। এলাকাবাসীর আশা-আকাক্সখা পূরণ করবে শিশির কুমার।

অপরদিকে শরিফসুন্দর ও চন্ডিপুর ২টি কোচিং সেন্টারে অনার্স ও মাষ্টার্স পাশ বেকার যুবকরা এলাকার সন্তানদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে বিকাল ৫টার পর থেকে কোচিং খুলছেন। এতে ক্লাস ওয়ান থেকে পঞ্চম শ্রেনীর অপরদিতে সিক্স থেকে দশম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীরা সুশিক্ষার জন্য ছুটে আসছেন নেকমামুদ দুটি কোচিং সেন্টারে।

অপরদিকে শরীফ সুন্দর প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন ২টি কোচিং সেন্টারে শান্তিপূর্ন পরিবেশে কোচিং সেন্টারের নামে চলছে সুশিক্ষার বাণিজ্য। অধ্যয়নরত বিদ্যালয়গামী ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞ শিক্ষকদের নিকট সুশিক্ষার জন্য প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর ছুটে যান তাদের মনোনীত কোচিং সেন্টারে। পীরগাছায় কোচিং সেন্টারগুলো যদিও অবৈধ তথাপিও এ প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে সাক্ষাতে শিক্ষকদের সাথে কথা বলে অবগত হন সরকার কর্তৃক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কোচিং সেন্টারগুলোতে বিজ্ঞ শিক্ষকের তত্বাবধানে ও পাঠদানের ফলে শিক্ষার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে গোটা উপজেলায়। যার বাস্তব প্রমান পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বাড়ছে তবে পরীক্ষার পরিবেশের ভিন্ন চিত্র।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সী

২০ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের আসামীকে গ্রেফতার


বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯৭৪ সালের ১৫(৩) ধারার এজাহার নামিয় আসামী আব্দুস ছাত্তার, পিতাঃ ফরিদ মাহমুদ কে পীরগাছা থানা পুলিশ গত ১৯শে নভেম্বর বৃহসপতিবার সন্ধায় তার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার ওসি তদন্ত নাজমুল আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান আব্দুস ছাত্তার সম্প্রতি ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে ভাংচুর সহ নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলার চার্জসীট আদালতে প্রেরণ করছেন পীরগাছা থানা পুলিশ। গত ১৮ই নভেম্বর বুধবার ছাওলা ইউনিয়নের জ্ঞানগঞ্জ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল আজিজের পুত্র শহীদুল ইসলাম বোমা সাজুকে পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের নির্দেশে এসআই শফি সাদা পোশাকে গিয়ে এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

গ্রেফতারকৃত বোমা সাজু একজন সাবেক ছাত্রশিবিরের কর্মী ছিলেন বলে থানা পুলিশ জানায়। পরবর্তীতে জামায়াতের সদস্যপদ লাভ করে। বোমা সাজুর বিরুদ্ধে ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের ঘটনায় মামলা রুজু করা হলে পুলিশের হাত থেকে ধরা পরার ভয়ে বোমা সাজু আত্নগোপন করে থাকে। গোপন সাংবাদে র্সোসের মাধ্যমে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে বোমা সাজুকে গ্রেফাতর করে থানায় নিয়ে আসে।

নাশকতার ছক অনুযায়ী গতকাল বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামীদের নাম ঠিকানা বিররণী প্রকাশ করেন পুলিশের নিকট বোমা সাজু। সাজুর জবানবন্দি অনুযায়ী আব্দুস সাত্তার, পিতাঃ মৃত ফরিদ মাহমুদের নাম উঠে আসে এজাহারে। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা নং ২৬/১১ বলে মামলার তদন্তকারী অফিসার সাংবাদিককে জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এজাহার নামীয় মামলার আসামী আব্দুস ছাত্তার থানার হাজতে অবস্থান করছে।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

১৮ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় সাংবাদিকের শ্বাশুড়ীর মৃত্যুতে শোক ও কুলখানি


রংপুরের পীরগাছা উপজেলার এক সাংবাদিকের শ্বাশুড়ীর মৃত্যুতে বিভিন্ন  সংগঠনের শোক ও কুলখানি।  তিনি রংপুর থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের মূখপত্র ‘দৈনিক দাবানল’ পত্রিকার পীরগাছা উপজেলার নিজস্ব সংবাদদাতা ডাঃ এমদাদুল হক এর শ্বাশুড়ী বাধ্যক্য জনিত কারনে কনিষ্ঠ্য কন্যা খন্দকার লায়লা আরজুমান বানু পারভীনের রহমতচরস্থ বাস গৃহে দীর্ঘ ৬ বছর রোগ-ভোগের পর গত ৭ নভেম্বর সন্ধায় মৃত্যুবরণ করেন ইন্নালিলাহে .........রাজেউন। মৃত্যুকালে তার বয়স ৯৭ বছর হয়েছিল।

তিনি মরহুম খন্দকার আনছার আলী মিয়া ফকিরের ২য় পুত্র মরহুম খন্দকার রুহুল আমিন(নয়ামিয়া)ফকিরের স্ত্রী ও মেসার্স রাজু ট্রেডার্স এর’ একমাত্র মালিক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক রাজু মিয়ার মাতা খন্দকার রেজিয়া খাতুন। তিনি শ্বশুর পীর আনছার  ফকিরের খেতাব প্রাপ্তা ছালেক ছিলেন। তার জানাজা নামাজ পরদিন সকাল ১০টায় রহমতচর ঈদগাহ্ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে মিয়াবাড়ী ‘পারিবারিক কবর’ স্থানে স্বামীর কবরের পার্শ্বে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুর সময় মরহুমা ১ পুত্র ৩ কন্যা,নাত-নাতনী সহ বহু গুন গ্রাহী ও শিষ্যভক্ত রেখেযান। তার রুহের মাগফেরাত কামনায় আজ ১৬ নভেম্বর সোমবার সকাল ৮টায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হইবে। মরহুমের পরিবার থেকে তার গুন গ্রাহী,ভক্ত, সংগঠক, সাংবাদিক মহল ও আত্নীয় সজনকে দোয়া ও মোনাজাতে শরীক হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

পীরগাছায় স্বামীর যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী, শশুর ও শাশুরীকে নির্যাতন


পীরগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন  স্বামী নির্যাতনের শিকার গৃহবধু মোছাঃ নয়ন তারা ও তার বাবা মা। এই নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বেপরোয়া স্বামী আব্দুল কাদের। সহজ সরল শ্বশুর ইমান আলী বাড়ি পূর্ব ব্রাক্ষণীকুন্ডা বামন পাড়া গ্রামে। শশুর শাশুড়ি আত্নীয় স্বজনের সামনে প্রকাশ্যে যৌতুকের টাকা দাবী করে আব্দুল কাদের। দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাবার বাড়িতে নির্যতনের শিকার হন গৃহবধু নয়ন তারা।

শুধু স্ত্রীকে নির্যাতন করে ক্ষ্যান্ত হননি জামাতা আব্দুল কাদের। মেয়েকে জামাতার কবল থেকে উদ্ধার করতে এসে শশুর ইমান আলীকেও গুরত্বর আহত করেছে আব্দুল কাদের। শাশুড়ি জরিনাও রেহাই পায়নি। দিনের বেলায় প্রকাশ্যে স্ত্রী ও শশুর, শাশুরীকে নির্যাতনের বিষয়টি গ্রামের সাধারন মানুষ নিন্দা জানিয়েছেন জামাতার বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় নির্যাতিতা গৃহবধু নয়ন তারা বাবা ইমান আলী মা জরিনা বগম সহ ৩ জন পীরগাছা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যৌতুকের দাবী আনায়ন করে নির্যাতনের বর্ণনা উল্লেখ করে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে অসহায় গৃহবধু নয়ন তারা। পূর্ব ব্রাক্ষণীকুন্ডা বামন পাড়া গ্রামে সাধারন লোকজন সুত্রে জানা গেছে আব্দুল কাদেরের বাড়ি নব হারিয়ার ঘাট ব্যপারী পাড়ায়। অপরদিকে নয়ন তারার বাবা সহ পরিবারের লোকজন সহজ সরল নিরিহ মানুষ।

ঘটনাটি সত্য, পুলিশ যদি নয়ন তারার দায়েরকৃত এজাহার তদন্ত সাপেক্ষে বেপরোয়া অসামাজিক স্বামী আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় গ্রহন না করে তবে আব্দুল কাদের কর্তৃক গৃহবধু নয়ন তারার পরিবারের মধ্যে শান্তি ভঙ্গের আশংকা রয়েছে। গৃহবধু নয়ন তারা ও তার বাবা ইমান আলী মা জরিনা বেগম হাসপাতাল বেডে সাংবাদিকদের জানান জামাতা আব্দুল কাদের একজন অসামাজিক প্রকৃতির লোক। যা কিছু উপার্জন করে তা জুয়া খেলা সহ নেশা খেয়ে শেষ করে।

ইতিপূর্বে গৃহবধু তার বাবা মায়ের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা স্বামী আব্দুল কাদেরকে দিয়েছিলেন। দাবীকৃত টাকা না দিতে পেরে গত ১৭ই নভেম্বর তাকে অমানবিক, অমানুষিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশের নিকট আইনের সাহায্য কামনা করেন গৃহবধু নয়ন তারা ও তার অভিভাবক।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

১৭ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স


ছবিটি পীরগাছার মেডিকেল এলাকা থেকে তোলা হয়েছে । এই পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পীরগাছার একমাত্র হাসপাতাল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কাজ সম্পন্ন হলেও পুরোদমে সবগুলো ভবন চালু হয়নি।

স্থানঃ মেডিকেল, পীরগাছা, রংপুর
সময়ঃ বিকাল ০৫: ৩০
তারিখঃ ১লা জুলাই ২০১৫ ইং
ছবিঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

পীরগাছার অন্নদানগর থেকে বাজাজ মটরসাইকেল চুরি


পীরগাছার অন্নদানগর আশা ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার চন্দন সরকারের ব্যবহৃত বাজাজ সিটি ১০০ মটরসাইকেলটি গত ১৬ই নভেম্বর সোমবার ৬টা ২০মিনিটে অফিসের বারান্দা থেকে সঙ্গবদ্ধ চোরেরা কৌশলে চুরি করে নিয়ে কেটে পরে। অন্যান্য কর্মকর্তাদের মটোরসাইকেল রয়েছে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার চন্দন সরকারের মটরসাইকেলটি নেই। সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান করে মটরসাইকেলটি পাওয়া না গেলে মটরসাইকেরটির চুরির বিষয়ে পীরগাছা থানা ডিউটি অফিসারের নিকট চুরি যাওয়া মটরসাইকেলের বিষয়টি অবগত করেন।

অন্নদানগর এনজিও সংস্থা আশা ব্যাংক থেকে মটরসাইকেল চুরি যাওয়ায় অত্র অন্নদানগর এলাকার মটরসাইকেলের মালিকগন আতঙ্কিত। অন্নদানগর আশা ব্যাংকের ম্যানেজার চন্দন সরকার যাহার মোবাইল নং ০১৭৩০-৩১৩৪০৬। নিরাপদ নেই মটরসাইকেল ইহা যেমন সত্য অপরদিকে পীরগাছা বাজার উপজেলা পরিষদ, সোনালি ব্যাংকের মোড় সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক গোন্ডা নামীদামী চুরি যাওয়া মটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি করো পক্ষে, ইহাও সত্য।

মটরসাইকেলের সঙ্গবদ্ধ চোরের দলটি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রত্যেক মাসে পীরগাছা উপজেলার যেকোন স্থান থেকে মটরসাইকেল চুরি করবেন ইহা তাদের রুটিনে পরিণত হয়েছে। পুলিশের যেমন রুটিন কখন ডিউটি করতে হবে,  সাংবাদিকদের দায়িত্ব যেমন সংবাদ সরবরাহ করে অফিসে পাঠানো তেমনি লক্ষ্য করা গেছে পীরগাছা উপজেলায় মটরসাইকেল চুরির বিষয়টি। এমন কোন মাস নেই যে পীরগাছা উপজেলার ৯ ইউনিয়নে যে কোন স্থান থেকে মটরসাইকেল চুরির খবর পাওয়া যায় নি।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

১৬ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছার হরিরাম গ্রামে জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত


গত ১৫ই নভেম্বর রবিরার রংপুর জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত আওয়ামীলীগ সরকারের সাফল্য অর্জন উন্নয়ন ভাবনা সম্পর্কে জনগনকে অবহিত করণ সম্পর্কিত করণের লক্ষ্যে এক বিশাল মহিলা সমাবেশ পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের হরিরাম নামক মৌজার দেলোয়ার হোমেন এফতেদায়ী মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের মধ্যমণি পীরগাছা উপজেলা সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আলিয়া ফেরদৌস জাহান প্রধান অতিথি হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। জেলা তথ্য সিনিয়র অফিসার মোঃ হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির আসনে সরকারের সফল্য এলাকার আইন শৃক্সখলার বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা হেলেন, ৫নং ছাওলা ইউনিয়নের সুযোগ্য ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাজির হোসেন। উপজেলা জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলি অফিসের আলহাজ্ব মোবারক হোসেন, দৈনিক পরিবেশের পীরগাছা প্রতিনিধি সাংবাদিক তোজাম্মেল হক মুন্সি দিক নির্দেশন মূলক বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে জেলা তথ্য অফিসের আলমগীর হোসেন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে পবিত্র কোরআন তোলেয়াত করেন মিশু বেগম। অতিথি ও বক্তাদের আলোচনা শেষে সমাবেশে অংশগ্রহনকারী মহিলাদের সমস্যা ও দাবীদাওয়া তুলে ধরে মুক্ত হতদরিদ্র মহিলাদের মাঝে আলোচনা করেন সুফিয়া, আয়শা, আশুরা বেগম, হালিমা, কাজুলী খাতুন, লাইলী বেগম, জনপ্রতিনিধি উপজেলা পরিষদের মহিলা সদস্যা সামিনা বেগম সহ আরো অনেকে। অসহায় দরিদ্র হরিরাম গ্রামের মহিলাদের দাবির মধ্যে ছিলো ল্যাট্রিন ও নলকুপ। বিশেষ করে অত্র হরিরাম গ্রামের শতাধিক বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের স্কুল পড়–য়া সন্তানরা পড়াশুনা করতে মারাত্নক হিমশিমে পরতে হয়। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী তাদের পল্লী পাড়াগায়ে পল্লীবিদ্যুৎএর আলো যেন আসে।

অনুষ্ঠানের মধ্যমণি প্রধান অতিথি সকারের সাফল্য বাস্তবে পরিণত হচ্ছে এবং উন্নয়ন হচ্ছে এ সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন আপনারা আপনাদের সন্তানদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে মানুষের মত মানুষ গড়ে তোলেন। প্রধান অথিতি আরো বলেন বাল্য বিবাহ রোধ করতেই হবে। অপরদিকে ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, আপনাদের কোন সন্তান যেন নেশার জগতে না যায়, বিশেষ করে ইভটিজিং সহ অন্যান্য অসামাজিক অপরাধগুলো এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ।

অনুষ্ঠান শেষে ৬টা ৫মিনিটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদে গমন করেন। সেখানে তিনি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। সমিতির সভাপতি সম্পাদকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন উপজেলা সম্বয়কারী শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন। সন্ধা ৬ টা ৪৪ মিনিটে ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাৎসরিক অডিট করেন। অডিট চলাকালিন কিছু ত্রুটি রয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আমজাদ হোসেন সহ ৫ নং ছাওলা ইউনিয়নের তথ্যে নিয়োজিত জিয়াউর রহমান জিয়াকে সতর্ক করে দেন। অডিট চলাকালীন সময়ে ইউপি চেয়ারম্যন নাজির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বড়ই আনন্দের বিষয় কাছে থেকে লক্ষ্য করা গেছে পল্লী পাড়াগায়ে জেলা তথ্য অফিস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে শত শত মহিলাদের পাশেই দর্শকের সারিতে বসে থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান নাজির হোসেনের গৃহবধু রোকেয়া পারভিন। মহিলা সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সচেতন মহিলাদের দাবী এ ধরণের অনুষ্ঠান আমারা যদি বছরে বা ৬ মাসে প্রশাসনের উপস্থিতিতে তাদের সুন্দর সুন্দর মুখের বাণী শ্রবণ করি তাহলে আমাদের সমাজের অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। জেলা তথ্য অফিসার পল্লী পাড়াগায়ে এই অনুষ্ঠানগুলো করবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

১৫ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্ভোধন


পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শাহ মোঃ হুমায়ুন কবীর গত ১৪ই নভেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধন করলেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফছার আলী। পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ সোহরাব হোসেন, পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই মোঃ নুরুল হক এমটি, এএইচআই মোঃ আব্দুল হালিম সরকার, স্বাস্থ্য সহকারী মোছাঃ মনোয়ারা বেগম, মোঃ জহুরুল ইসলাম পঃবিঃ, সিভিল সার্জেন্ট প্রতিনিধি মাহবুবা ফেরদৌসি।

আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন পীরগাছা ইউনিয়নের অনন্তরাম মৌজার মরহুম হাসান মিলেটারির বাড়ির উঠানে এ ক্যাম্পের উদ্ভোধন করা হয়। যথা সময়ে উদ্ভোদন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ক্যাম্পে আসা অভিভাবকরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি ভুয়সী প্রসংশা করেন।

উল্লেখ্য যে সরকারী অনুষ্ঠানগুলো যথাসময়ে করার কথা থাকলেও অনেক সময়ে সময়ের মুল্যায়ন করা হয় না। কিন্তু গত শনিবার পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ৯টার পূর্বে ক্যাম্পে উপস্থিত দেখে সাধারন লোকজন তাদের প্রতি অভিনন্দন জানান। সময়ের মূল্য এবং সময় সূচী অনুযায়ী সরকারী কাজগুলো যদি করা হতো তাহলে আমাদের দেশের তথা সমাজের উন্নয়নের কাজগুলো অনেক ধাপে এগিয়ে যেতো। পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের গোটা উপজেলায় শন্তিপূর্ণ পরিবেশে সমাপ্তি করবেন বলে আশাবাদি।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি












১২ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় গত কয়েকদিনে ৫০ জন জামত শিবিরের নেতাকর্মী গ্রেফতার

পীরগাছা থানা পুলিশের ঝটিকা অভিযানে কমপক্ষে ৫০ জন জামাত শিবিরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার। জেল হাজতে প্রেরণ করায় শতশত জামাত বিএনপির নেতা কর্মীরা বাড়িতে রাত্রিযাপন না করে বিভিন্ন আত্নীয় স্বজন বিশেষ করে গরীব মানুষের বাড়ি ঘরে গিয়ে রাত্রি যাপন করছে বলে বিভিন্ন ভাবে এ প্রতিনিধি অবগত হয়েছেন।

জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম পীরগাছা থানা এলাকার অপরাধ মুক্ত সমাজ গড়তে নাশকতা এড়াতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে গত কয়েকদিনধরে নাশকতার অভিযোগে জামাত শিবিরের নেতাকমীদেরকে গ্রেফতার পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম স্বয়ং নিজে তথা ওসি তদন্ত নাজমুল হাসান সেকেন্ড অফিসার তাজুল, এসআই শরিফুল, এসআই ওবাইদুল, এসআই মালেক, এসআই সাহাব উদ্দিন, এসআই সাইদুর, এসআই সবুজ, এএসআই মমিনুর সহ সকল পুলিশ অফিসার, পুলিশ ফোর্স অভিযানে অংশ নেন। সারা রাত ব্যাপি অভিযানে নাশকতার অভিযোগ সহ ২৮ শে ফেব্রুয়ারী পুলিশ কনষ্টেবল মোজাহার আলী হত্যার গ্রেফতারী পরওয়ানার আসামীদেরকে অভিনব কৌশলে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।

এক সুত্রে জানা গেছে পীরগাছা থানা পুলিশের সঙ্গে জেলা পুলিশের উধ্বতন কর্মকর্তা, আইন শৃক্সখলা বাহিনি, র‌্যাব, যৌথ বাহিনি জামাত শিবিরের নেতা কমীদের গ্রেফাতর করতে সহযোগীতা করেছেন বলে জানা গেছে। পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে জামাত শিবিরের চিহ্নিত নেতা কমীরা বিভিন্ন ভাবে গোপনে অন্যের বাড়িতে রাত্রি যাপন করছেন। অপরদিকে পুলিশের হাত থেকে ধরা পরার ভয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে দর কসাকসী করছেন বলে জামাত শিবিরের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

১১ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় ফকির বাবা ডিম খাইয়ে মটরসাইকেল সহ লক্ষাধীক টাকা লুট

বাড়িতে গুপ্তধন তথা টাকার ড্যাগ রয়েছে। উক্ত টাকা পেতে হলে আমার কথা মত সবাইকে ডিম খেতে হবে। ফকির বাবার কথা মত বাড়ির সবাই সেই ডিম গভীর রাতে খায়। আর সেই ডিম খেয়ে বাড়ির ৫ জন্য সদস্য অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পরে। এই সুযোগে ফকির বাবা মটরসাইকেল সহ অলঙ্কার এবং লক্ষাধীক টাকা নিয়ে রাতেই বাড়ি ছেড়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। আর এই চাঞ্চল্যকর কাহিনিটি ঘটেছে পীরগাছার রাজবাড়ি পাকারমাথা বাজারের সুপরিচিত ব্যবসায়ী আবু তালেবের বাড়ি আমডারা নামক গ্রামে গত ৯ই নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রিতে।

ঘটনার বিবরণে প্রতিবেশিসহ রাজবাড়ি পাকারমাথা বাজারের ব্যবসায়ীরা এই আলোচিত ঘটনাটি নিয়ে ব্যবসায়ী আবু তালেবকে ব্যাপক সমালোচনা করেন। সমালোচনার কারন হচ্ছে আবু তালেব একজন অত্র এলাকার মধ্যে সব দিক দিয়েই চালাক ব্যক্তি। আজ পর্যন্ত আবু তালেবকে কেহ ঠকাতে পারে নাই এমনকি কোন ফকির মিসকিন সহ বিভিন্ন আবদারকারীরা কিছু পয়সা নিবে তার আগেই আবু তালেব যে কোনভাবে হাদিস ঝাড়িয়ে বলে আমি সব জানি।আমাকে তোমরা ভাঙ্গাতে পারবেনা। এখন গ্রামের লোকজন সহ পাকারমাথা বাজারে মানুষগুলো অট্টোহাসি দিয়ে বলে ফেলেন বোকা ফান্দে জালত, চালাক ফান্দে ....। সেইরকম হলো আবু তালেবের দশা।

ফকির জানিয়েছিলো টাকার ড্যাগ পেতে হলে তার কথা শুনতে হবে। ফকিরের দেওয়া ডিম খেয়ে ফেলে আবু তালেব ও তার স্ত্রী, পুত্র ব্যাবসায়ী রাজু, রুবেল ও আরিফ সহ অপর দুজন বাড়ির সদস্য। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আবু তালেব সহ ৫ জন। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু এ প্রবাদটি বাস্তবে সত্য বলে প্রবীন ব্যক্তিরা মন্তব্য করেন। এখনো আমরা সেই আদি যুগের মানুষের মত চলি। আমডারা গ্রামের আবু তালেব একজন চতুর ব্যাক্তি এবং ব্যবসায়ী পরিবার। সে কেন ফকিরকে বিশ্বাস করবে আর কেনইবা তার বাড়িতে টাকার ড্যাগ তথা গুপ্তধন রয়েছে এ লোভে পড়তে যাবে। আমাদের সাধারন জ্ঞান থাকা উচিত। টাকার ড্যাগ যদি থাকে তাহলে ওই ফকির ব্যাটাই সবার আগে কাউকে কিছু না জানিয়ে টাকার ড্যাগটি তার বাড়িতে নিয়ে যাবে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হল ফকিরের কারামতি কেন আমরা সহজে বুঝতে পারিনা। কারণ আমরা লোভী।

আমরা মোবাইলে জিনের বাদশার কথা শুনে লোভে পরে বহু টাকা পয়সা এমনকি ঘরের সুন্দরী গৃহবধুটিকেও হারাতে দ্বিধা বোধ করিনা। আবু তালেব ঐ ফকিরের সম্পর্কে ভলোভাবে জানতো। চার মাস ধরে ঐ ফকির ব্যাটার সঙ্গে তার উঠা বসা। একজন ব্যক্তি সহজে অপর একজন মানুষকে ভালোবেসে ফেলে এবং লোভে পরে। আসুন আমরা আবু তালেবের মত ভন্ড ফকিরের পাল্লায় পরে ডিম না খাই।  তবে আবু তালেবের মত অসামাজিক মানুষ হলে শুধু ডিম খাইয়ে নয় ঝাল মুড়ি খাইয়েও বাড়িতে থাকা সুন্দরী গৃহবধুকে হারাতে হবে। আবু তালেবের মত এ ধরনের পরিস্থিতির  স্বীকার হয়েছিলো কিশামত ঝিনিয়া গ্রামের জনৈক ব্যাক্তির গৃহবধু।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

১০ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছার শিক্ষা অফিসের কর্তৃপক্ষের গাফলতি


পীরগাছা উপজেলার অধিকাংশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ভালো নয়। প্রধান শিক্ষকরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত। শিক্ষা অফিসের কর্তৃপক্ষের গাফলতি, যার ফলে প্রধান শিক্ষকরা সুযোগের সদব্যবহার করছে। অধিকাংশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা রাজনীতিতে জড়িত। রাজনীতি মানে দেওয়ানগীরীও করা হয়, আড্ডা দেওয়া হয়, ব্যক্তিস্বর্থ হাসিল করে চলে ওরা।

সত্য প্রসঙ্গে বলতে হয় এই প্রাথমিক স্কুলগুলো ছিলো বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। পীরগাছার বেসরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকেরা নিজ খেয়াল খুশি মত চাকুরী করত। যাকে বলা হয় মন গড়া। ইহা ধ্রব সত্য ছিলো। সরকারী করণের পরও এদেরকে বদলী করণ করা হয় বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাবাদ আছে যে, ঢেকি যদি সর্গেও থাকে সেখানেও তাকে ধান ভেঙ্গে খেতে হয়। তাই বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারী করণ হওয়ার পরেও তথা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হওয়ার পরেও তাদের সেই পুরণ অভ্যাস বদলায় নি। এদের দিকে কঠোর নজরদারী রাখতে হবে।

এখন প্রশ্ন- এরা যে সরকারী চাকুরী করে, সরকারের কর্মচারী এদেরকে তদারকী কে করবে? জনমনে নানা প্রশ্ন। কারণ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শুধু অফিস নিয়েই নানা কাজে ব্যস্ত। যার যার ক্লাষ্টার তার কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় সরকারী দায়িত্বে। ৯ ইউনিয়নে অধিকাংশ প্রধান শিক্ষকরা যেভাবে কর্মস্থলে তথা স্কুলে যাতায়াত করেন তাহা সরকারী বিধি বর্হিভুত। তাই এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা স্বাভাবিক।

এদের একটি ভালো অভ্যাস আছে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারদের সঙ্গে আতাত করা। এরা বিভিন্ন চায়ের দোকানে এবং আড্ডা খানায় গল্প করে যে, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে ২০ টাকা দিয়েও কেনা যায়। কারন অধিকাংশ সহকারী শিক্ষা অফিসার প্রধান শিক্ষকদের কাছে দূর্বল। কারন প্রধান শিক্ষকরা যেহেতু অপরাধকে ঢাকতে সেইসব অফিসারদেরকে ম্যানেজ করে চলেন এবং একই সঙ্গে চায়ের টেবিলে বসে খোস গল্পের মাধ্যমে বন্ধুত্বসুলভ আচরন করেন।

গোটা পীরগাছা উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সন্তসজনক নয়। কারন রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট প্রজা কষ্ট পায়। তেমনি আমাদের কিছু সংখ্যক পীরগাছা উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের দৈন্যদশা। সামনে পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষকেন্দ্রে অন্যের উত্তরপত্র দেখে লেখার অভ্যাস রয়েছে পীরগাছা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

০৮ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছার রাজবাড়িতে অভিনব কৌশলে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা


পীরগাছার রাজবাড়ি পাকারমাথা গাজা সহ বিভিন্ন নেশা বিক্রি করছে কয়েকজন মহিলা ও পুরুষ। পীরগাছার রাজবাড়ি পাকারমাথা নামক স্থানে একদিকে সুদখোরের সংখ্যা বৃদ্ধি অপরদিকে নেশাখোরদের আড্ডা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো নেশা খোরদের এবং সুদখোরদের কবল থেকে রেহাই পেতে পুলিশ প্রশাসনের শুভ নেক দৃষ্টি কামনা করছেন। সন্ধার পর থেকে রাজবাড়ি পরিত্যাক্ত জায়গাগুলোতে গাজাখোরদের অত্যাচার বৃদ্ধি পায়।

দিঘির দক্ষিন পাশ্বে দুটি বাড়িতে মহিলা সহ একাধিক ব্যক্তি গাজা বিক্রি করে থাকেন। এই রাজবাড়ি স্থানটি গাজা বিক্রেতাকে সবাই চেনে। প্রশাসনের দোহাই দিয়ে এক শ্রেণীর ব্যক্তি প্রতি মাসে সেখান থেকে টাকা নেয়। পুলিশ প্রশাসন গোপনে ছদ্দবেশে গাজাখোর সেজে সেখানে যদি খাজাসহ ফেনসিডিল ইয়াবা খরিদ করতে যায় তাহলে গাজা বিক্রেতা সেই চিহ্নিত মানুষটিকে একদিকে চেনা যাবে। অপরদিকে আইনের হাতে আটক হবে। পুলিশের পোশাকে গেলে চা মিষ্টি খাওয়াবে যেহেতু পুলিশের সাথে ওদের সখ্যতা রয়েছে।

পীরগাছা রাজাবাড়িটি নেশার জগতে একটি চিহ্নিত স্থান। সম্প্রতি  পীরগাছা উপজেলায় ৬ মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলিয়া ফেরদৌস জাহান এ-সাজা প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানায়, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর’র পরিদর্শক আনোয়ারুল হাবিবের নেতৃত্বে একটি দল উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ মাদকসেবীকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে তাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভ্রাম্যমান আদালতে নেয়া হলে বিচারক আটক মনুরছড়া গ্রামের এখলাছুর রহমানকে ২ মাস, শরীফ সুন্দর গ্রামের আতোয়ার রহমানকে ৬ মাস ও শম্ভু চন্দ্রকে ১ মাস, নাগদহ গ্রামের দুলাল মিয়াকে ১ মাস, বানিয়াটারী গ্রামের আনোয়ার হোসেনকে ৬ মাস এবং গুয়াবাড়ি গ্রামের রুবেল মিয়াকে ১ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে তাদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়।

পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের নের্তৃত্বে সকল অফিসার প্রতিনিয়ত মাদক বিক্রেতা এবং মাদক সেবনকারীর দায়ে কমপক্ষে গত ৬ মাসে ৯০ জন অপরাধিকে গ্রেফতার করেন। এইসব অপরাধির বিরুদ্ধে কাউকে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা প্রদান করা হয়। অপরদিকে অনেকের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পীরগাছা থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত জামাত শিবিরের আসামীর ন্যায় মাদকাসক্ত আসামীদেরকে জেল হাজতে গ্রেফতার করছে।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

০৭ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দূর্ণীতির অভিযোগ


পীরগাছায় তালুক ইসাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম,দূর্ণীতির অভিযোগ অভিভাবক-শিক্ষর্থীদের মানব বন্ধন ও বিক্ষভ। পীরগাছায় তালুক ইসাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্ণীতি বিরূদ্ধে অভিভাবক শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে । এ সময় তারা দূর্ণীতিবাজ ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন।

জানা গেছে,ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নূরূজ্জামান মন্ডল ভারপ্রাপ্ত  প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকাকালিন বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতিতে  জড়িয়ে পড়েন।  স্থানীয় অভিভাবকগন অভিযোগ করেন, ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য থাকায় সহকারি শিক্ষক নূরূজ্জামান মন্ডলকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়।এরপর থেকে নানান অযুহাতে বিদ্যালয়ে না এসে তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসে তদ্ববির নিয়ে ব্যস্ত থাকেন । ফলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয়।

এদিকে বিদ্যালয় উন্নয়ণে সরকারি বরাদ্দের টাকা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে আতœসাত করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, গত ৫ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ বিদ্যালয়টিতে দূর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করলে বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । সরকারি ভাবে  পুনঃ মেরামতের জন্য ষাট হাজার টাকা বরাদ্দ দিলে নামমাত্র কাজ করে সমুদয় টাকা আত্নসাৎ করেন।

অপরদিকে জমি বন্দকির বার হাজার টাকা,বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ফুটবল টুর্ণামেন্টের বার হাজার টাকা, টিআর বরাদ্দের পনের হাজার টাকা আতœসাৎ করেন। অন্য একটি সুত্র জানায়, বিদ্যালয়ে স্যানিটারি ল্যাট্রিন ও বিশুব্ধ পানি সরবরাহের জন্য সরকারি ভাবে এক হাজার গ্যালন পানির ট্যাংক ও পানি উত্তোলনে ব্যবহারিত এক হর্স শক্তির একটি বৈদ্যুতিক পাম্প নিজে ও সহকারি শিক্ষক মন্জুমা বেগম যোগসাজসে নিয়ে গেছেন। এর ফলে বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পয়ঃনিষ্কাশন ও বিশুব্ধ পানি ব্যবহার করতে না পেরে বিড়ম্বনায় পড়েছে । ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর“জ্জামান মন্ডল আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানান,তিনি কোন প্রকার অনিয়ম,দূর্ণীতির সাথে জড়িত নন। তিনি দায়িত্বে থাকাকালিন সময়ে বিদ্যালয়টি সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করেছেন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল হালিম সরকার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন-ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা হবার সুবাদে তার বিরূদ্ধে শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিলেও কার্য্যত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুজ্জামানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি এ কর্মস্থলে সদ্য যোগদান করায় অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে বলে শুনেছেন। অভিভাবকরা অভিযোগ দিলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

রিপোর্টারঃ কাজী শহীদুল ইসলাম

পীরগাছার রেলওয়ে স্টেশনে ময়লা ও দূগন্ধে ভোগান্তি


রংপুরের পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশন অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। ময়লা ও দুর্গন্ধের কারণে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়। তার ওপর প্ল্যাটফর্মে নেই বসার কোনো ব্যবস্থও। আবর্জনা থেকে খাবার খেতে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের দল।

১৯৪৬ সালে পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনটি স্থাপন করা হয়। ভবনও নির্মিত হয় ওই একই বছর। এ স্টেশনের ওপর দিয়ে রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, বগুড়া, কুড়িগ্রামসহ আরও কিছু জেলায় রেলপথে যোগাযোগ গড়ে তোলা হয়।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের চারদিকে কাগজ, ঠোঙা, চিপসের প্যাকেট পড়ে আছে। টিনের শেডটি আটকানোর জন্য লোহার পিলারের নিচে যাত্রীদের চারটি বসার স্থান করা হয়েছে। এসব বসার স্থান নোংরা। এর পাশে ভবনের সামনের অংশে নর্দমা। সেটিও আবর্জনায় ভর্তি হয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে আে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সে সঙ্গে প্ল্যাটফর্মে আছে ছাগল-ভেড়া-কুকুরের বিচরণ।

বগুড়া যেতে দোলনচাপা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন পীরগাছার ব্যবসায়ী মশিউর রহমান। তিনি বলেন, পীরগাছা থেকে বগুড়া যেতে ট্রেনেই সুবিধা বেশি। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে প্ল্যাটফর্মে তেমন কোনো বসার জায়গা নেই। আর থাকলেও সেটি বসার উপযুক্ত নয়।

পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার আবুল হাশেম বলেন, স্টেশনের বেহাল দশা দূর করার জন্য লালমনিরহাটের বিভাগীয় কার্যালয়ে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এর কোনো উদ্যোগ নেই।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, বার্ষিক পরিকল্পনায় উন্নয়ন খাতে পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশন সংস্কারের কথা রয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো বরাদ্দ হয়নি।

০৫ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় আবারো শিক্ষা উপকরণ বিতরণে অনিয়ম


রংপুরের পীরগাছায় প্রাইমারি স্কুল গুলোতে শিক্ষা উপকরণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের পর এবার প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষা উপকরণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের যোগসাজোসে এক উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিন্মমানের নাম মাত্র উপকরণ বিতরণ করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা উপকরণ ভিত্তিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছে।

অভিযোগে জানা যায়, ২০১৪/১৫ অর্থ বছরে উপজেলার ১শত ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শিক্ষা উপকরণ তৈরী বা ক্রয়ের জন্য নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নির্দেশ মতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা উপকরণ ক্রয় করতে চাইলে বাঁধসাজে কর্তৃপক্ষ।

জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মনোনিত ব্যক্তি বিদ্যালয় গুলোতে উপকরণ বিতরণ করবেন। এ জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে উপকরণ বাবদ ৩ হাজার টাকা করে নেয়া হয়।

পরে শিক্ষা উপকরণ হিসাবে বিদ্যালয় গুলোতে আব্রাহাম লিংকনের চিঠি, শিক্ষার লক্ষ্য, শিক্ষার উদ্দেশ্য, শিক্ষার করণীয়, ছাত্র-ছাত্রীদের পালনিয় ও প্রান্তিয় যোগ্যতাসহ মোট ৬টি ফ্যাস্টুন বিতরণ করেন সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের মনোনিত ব্যক্তিরা।

যার বাজার মূল্য ৪/৫ শত টাকা মাত্র। বাকী অর্থ কোন কারন ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ উঠে। ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা উপকরণ না পেয়ে উপকরণ ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খলিলুর রহমান কাউনিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। গত ৭মাসেও তদন্ত না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত অর্থ বছরের উপকরণ বিতরণ অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত হতে না হতে আবারো চলতি বছরে প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষা উপকরণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপকরণ ক্রয়ের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধানদের  উপকরণ  ক্রয়ে বাধা দেয় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ইকবাল হোসেন। পরে ইকবাল হোসেন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে নাম মাত্র শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।

যা বাজার মূল্য ১২ থেকে ১৫ শ’ টাকা। ফলে উপকরণ ভিত্তিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা।

একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নিজ উদ্যোগে উপকরণ ক্রয় করবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের চাপে পড়ে তাদের মাধ্যমে নাম মাত্র উপকরণ নিতে বাধ্য হই। উপকরণ বাবদ ৫ হাজার টাকা নিলেও  শুধু নাম মাত্র উপকরণ বিতরণ করেন।

উপকরণ বিতরণকারী সংশ্লিষ্ঠ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ইকবাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি উপকরণ ক্রয়ের বিষয়ে কিছু জানিনা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুজ্জামান বলেন আমি এখানে নতুন এসেছি। এ বিষয়ে কিছু জানিনা।

সোর্সঃ অনলাইন লাইভ নিউজ ২৪

০৩ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় ভুয়া কবিরাজি চিকিৎসায় যুবকের মুত্যু


যুবক পুত্রের অকাল মৃত্যুতে মা গোলেনুর, বাবা আব্দুর রহিম, ভাই গোলজার, বোন, আত্নীয় সকলের মুখে কান্নার আহাজারি। গত ২রা নভেম্বর সোমবার রাতে রংপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন পীরগাছা ইউনিয়নের তেলিপাড়া নামক গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেন।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে দুর্ঘটনার পর এটিএস নামক ইনজেকশন নিলে দেলোয়ারের এই অকালমৃত্যু হতো না বলে জানা গেছে। ১২ দিন পূর্বে দেলোয়ার হোসেন জনৈক ব্যাক্তির মটরসাইকেল নিয়ে চৌধুরাণী বোনের বাড়িতে যাবার পথে বকশির ডিগি নামক স্থানে একাকি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সামান্য একটু আঘাত প্রাপ্ত হন।

বাড়িতে এসে বিভিন্ন কবিরাজি চিকিৎসা সহ ঝাড়ফুক করে অসুস্থ হলে অবশেষে সুচিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। রংপুর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক সুচিকিৎসার জন্য রংপুর সদর হাসপাতালে দেলোয়ার হোসেনকে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ারের মৃত্যু ঘটে।

দেলোয়র মারা গেছে এ সংবাদ মোবাইলে অবগত হন আত্নীয় স্বজন। বিশেষ করে অকালে যুবকপুত্র দেলোয়ারের মৃত্যু হওয়ায় গোটা পরিবারে নেমে আসে শোকের মাতম। গত ৩রা নভেম্বর মঙ্গলবার জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক করস্থানে দেলোয়ারকে দাফন করা হয়।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

০২ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধু শাপলা


অবশেষে গৃহবধু শাপলা ন্যায়বিচার চেয়ে পীরগাছা থানা পুলিশের নিকট বিচার প্রার্থী হলেন। অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গৃহবধু শিমুল আক্তার শাপলা অবশেষে পীরগাছা থানায় স্বামী ও গং এর বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলেন। আর এই হতভাগীনী গৃহবধুর ঘটনাটি ঘটেছে মহিষমুড়ির মুসুল্লিপাড়া নামক পল্লী গ্রামে।

আনুমানিক ১০/১১ বছর পূর্বে আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে একই গ্রামের কপিল উদ্দিনের ছেলে কামরুজ্জামান এর সহিত শাপলার বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন সুখ শান্তি হলেও অযৌক্তিকভাবে গৃহবধু শাপলার উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। মেয়ের নির্যাতনের কথা গোপনে জামাই কামরুজ্জামান ও তার অভিভাবকে জানিয়ে আসছিলো শাপলার বাবা সমাজসেবক শাহাব উদ্দিন।

সত্য প্রসঙ্গে বলতে হয় শাহাব উদ্দিন একজন অত্র গ্রামের সুপরিচিত মুখ। সমাজে এবং আত্নীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশীর কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলে তাকে সেই সব ছোটখাট অসামাজিক পারিবারিক ঘটনাগুলো নিস্পত্তি করতে হয়। বড়ই পরিতাপের বিষয় নিজের মেয়ের অশান্তির ছোয়া যখন তার কানে আসে তখন নিজেকে ছোট হয়ে থাকতে হয় সমাজের মধ্যে।

অবিশ্বস্য হলেও সত্য যে মেয়ের নির্যাতনের বিষয় দীর্ঘদিন ধরে শাপলা তার সুযোগ্য বাবাকে বলে আসছিলো কিন্তু বাবা সমাজিকভাবে মানবসমাজে চলাফেরার ফলে মেয়ের নির্যাতন শুধু বুকে বেধেই রেখেছিলো। কাউকে বলতোনা তার মেয়ে অশান্তিতে তথা জামাতা কামরুল কর্তৃক নির্যাতনের শিকার তার মেয়ে শাপলা।

পরিশেষে মেয়ে শিমুল আক্তারকে বাদীনি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সহ অন্যান্য অপরাধের ধারা আনায়ন করে গত ২৯/১০/২০১৫ তারিখে মামলা দায়ের করেন। অসহায় বিচারপ্রার্থী গৃহবধু শাপলার দায়েরকৃত মামলাটি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় এর জন্য মামলার বাদীনি শাপলা বেগম ও তার পিতা সমাজসেবক সাহাব উদ্দিন মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার এসআই বেলালের শুভ নেকদৃষ্টি কামনা করেন।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি

০১ নভেম্বর ২০১৫

পীরগাছায় মোট ৫টি কেন্দ্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত


সারা দেশের ন্যায় পীরগাছায় আজ ১লা নভেম্বর রবিরার জেডিসি, জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পীরগাছা উপজেলা সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার তথা জেডিসি, জেএসসি পরীক্ষার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোছাঃ আলিয়া ফেরদৌস জাহান সাংবাদিককে জানান, জেডিসি পরীক্ষায় মাদরাসা বোর্ডের অধীনে পীরগাছা হাজী ছফের উদ্দিন সিনিয়ার মাদরাসা কেন্দ্রে ১২শ ৫০ জন অপরদিকে পীরগাছা জেএন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় ১২শ ছাত্র ছাত্রী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে। কাশিয়াবাড়ি দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৩শ পরীক্ষার্থী, চৌধুরাণী পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় ৯শ জন পরীক্ষার্থী এবং বড়দরগা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭শ ৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করবেন।

পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহে কোন প্রকারের অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে এর জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে গোটা উপজেলায় মাইকিং করে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে আইন শৃক্সখলার দায়িত্বে নিয়োজিত পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম কর্মরত ওসি তদন্ত মোঃ নাজমুল সহ সকল পুলিশ কর্মকর্তারা সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে।

এদিকে যাতে শন্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বিগত পরীক্ষার ন্যায়, সেই লক্ষ্যে পীরগাছার জেডিসি পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব মাওলানা হাবিবুর রহমান, পীরগাছা জেএন পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচীব আব্দুর রউফ সরকার বড়দরগা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নুরুল ইসলাম খোকন কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব মোঃ আশরাফুল ইসলাম ডালিম মন্ডল এবং এলাকার বিজ্ঞ মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।