৩১ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছার ড. তৈয়ব হোসেন স্টেডিয়াম


ছবিটি পশ্চীমদেবুর নীলকমল এলাকা থেকে তোলা হয়েছে । অর্থায়নে তহমিনা হোসেন, চেয়ারম্যান, তৈয়ব হোসেন ফাউন্ডেশন। ষ্টেডিয়ামটির কাজ এখনো শুরু হয়নি। শুধু গেইট এবং কাটা তারের বেড়া দিয়ে জায়গাটি ঘেরা হয়েছে।

স্থানঃ পশ্চীম দেবু, পীরগাছা, রংপুর
সময়ঃ বিকাল ০১: ৪২
তারিখঃ ৩১ই অক্টোবর ২০১৫ ইং
ছবিঃ এক্সবস নয়ন

২৯ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছা উপজেলা কমিউনিটি সেন্টার


পীরগাছর একমাত্র কমিউনিটি সেন্টার। এটি পীরগাছা উপজেলার ভিতরে অবস্থিত। বড় ধরনের প্রশাসনিক অনুষ্ঠানসমূহ এই কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানঃ পাকারমাথা, পীরগাছা, রংপুর
সময়ঃ বিকাল ০৪: ৫১
তারিখঃ ১৪ই অক্টোবর ২০১৫ ইং
ছবিঃ এক্সবস নয়ন

পীরগাছার রাজবাড়ি বা মন্থনার জমিদার বাড়ি


পীরগাছার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এ্ন্থই নার জমিদার বাড়িটি পীরগাছা এলাকাবাসীর কাছে রাজবাড়ি নামেই বেশি পরিচিত। যদিও এর অসংখ্য দালান আজ ধ্বংসপ্রায়, তবুও এর রাজকীয় আভিজাত্বের ছোয়া এখনো বর্তমান।

স্থানঃ পাকারমাথা, পীরগাছা, রংপুর
সময়ঃ সকাল ১০: ৫০
তারিখঃ ১৬ই অক্টোবর ২০১৫ ইং
ছবিঃ এক্সবস নয়ন

পীরগাছা উপজেলার প্রবেশপথের প্রধান ফটক


পীরগাছা উপজেলার প্রবেশপথের এই প্রধান ফটকটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তথা স্বদেশপ্রেম কে উজ্জিবিত করে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে মনে করিয়ে দেয়।

স্থানঃ কদমতলী রোড, পীরগাছা, রংপুর
সময়ঃ বিকাল ০৫: ০২
তারিখঃ ১৮ই অক্টোবর ২০১৫ ইং
ছবিঃ মেহেদি হাসান

পীরগাছা মহিলা কলেজ শহীদ মিনার প্রাঙ্গন


পীরগাছা উপজেলার সবচেয়ে সন্নিকটে অবস্থান এই পীরগাছা মহিলা কলেজের। কলেজটির একমাত্র স্মৃতিসৌধ হচ্ছে এই শহীদ মিনার প্রাঙ্গন।

স্থানঃ পীরগাছা মহিলা কালেজ, পীরগাছা, রংপুর
সময়ঃ বিকাল ০৩: ১৪
তারিখঃ ২০ই মার্চ ২০১৫ ইং
ছবিঃ মেহেদি হাসান

পীরগাছা মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়


পীরগাছার সবচেয়ে জয়প্রিয় ও প্রাচীন প্রাথমিক বিদ্যালয়টি হচ্ছে পীরগাছা মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি সুনামে সাথে পীরগাছার ছেলেমেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষাদান করে আসছে অনেক আগেথেকেই।

স্থানঃ পীরগাছা মডেল ইস্কুল, পীরগাছা, রংপুর
সময়ঃ সকাল ১১: ১৪
তারিখঃ ১৬ই অক্টোবর ২০১৫ ইং
ছবিঃ এক্সবস নয়ন

খুনের বদলে খুন না অন্য ঘটনার কুখ্যাত সন্ত্রাসী সদরুল


কে এই সদরুল!! ইটাকুমারী ইউনিয়নের মানুষের কাছে আতংকিত নাম। তার বিরুদ্ধে পীরগাছা থানায় হত্যা, নাশকতা, মারপিট, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশের তালিকায় সে একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। যার নিদিষ্ট কোন উপার্জনের পথ ছিলনা। অপকর্মই ছিল তার একমাত্র পেশা। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়াও খুন, রাহাজানি, জমি দখল,রাস্তার গাছ কর্তন করে বিক্রয় করা। এলাকার লোকজনকে ভয় ভীতি দেখানো ও জোর পূর্বক অর্থ উপার্জন। টাকার বিনিময়ে এমন কোন কাজ নেই যা তার দ্বারা সম্ভব ছিলনা।

স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় সদরুল দীর্ঘ দিন থেকে তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে রামরাজত্ব কায়েম করে সন্ত্রাসী ষ্টাইলে চলাফেরা করতেন । স্থানীয় ব্যাংক থেকে চাঁদা আদায়, এলাকায় কোনো কাজ হলে ঠিকাদারকে গুনতে হতো মোটা অংকের টাকার নজরানা।

২০০০ সালে এক ঠিকাদারের সাথে তার এ ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনায় গ্রম্য সালিশ চলাকালে তার বাবা ওই সালিশী বৈঠকে হার্ট এট্রাকে মারা যান। এদিকে আদমের সাথে ইটভাটা ইজারাদার রুজু’র রাজবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে ছিল শত্রুতা। এক সময় আধিপত্য নিয়ে সদরুল ও আদম মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে ছিল। এরই জের ধরে আদমের সাথে সদরুলের সখ্যতা গড়ে উঠে আদম ইটাকুমারী এলাকার আর এক ভয়ংকরী সন্ত্রাসী। তাকেও এলাকার লোকজন ভয় করতো। ওই এলাকার আরেক প্রভাবশালী রাজ্জাককের সাথে দেবত্ত্বর সম্পত্তির দখল নিয়ে প্রায় সময় চলতো সংঘর্ষ। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে লেগে ছিল মামলা মোকর্দ্দমা। আদম ওই এলাকার একজন পরিচিত সন্ত্রাসী ও ভাড়াটিয়া খুনি।

ইতোপূর্বে রাজবাড়ির পুকুরের আধিপত্য নিয়ে  রিয়াজুলকে খুন করেন আদম। রিয়াজুল ও খায়রুল হত্যা মামলা সহ দশটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আসাদুজ্জামান রুুজু একজন ইটভাটা ব্যবসায়ী সে অন্যের ইটভাটা ইজারা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল। এদিকে সদরুলের বাড়ি ইটভাটার কাছে হওয়ায় তাকে দৈনিক তিনশত টাকা মুজুরিতে রুুজু নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে সদরুুল অংশিদার পরিচয় দিয়ে ইটভাটার কয়েক লাখ টাকা আত্নস্বাদ করে। সদরুল গোপনে ইটভাটাটি দখল করার পাঁয়াতারা করতে থাকে। ফলে ভাটার প্রকৃত মালিক কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর এলাকার কাফি মিয়াকে ভাটায় না আসার জন্য সদরুল তাকে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে অংশিদারদের সাথে ইটভাটার টাকার ভাগা-ভাগী নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে রুজু ও কাফি’র সাথে মাহিগঞ্জ-পাওটানা সড়কের তালতলা নামক স্থানে সদরুলের সাথে কথা কাটা-কাটি এক পর্যায়ে মারপিট হয়। এরই প্রতিশোধ নিতে সদরুল ইটভাটা ইজারাদার রুজুর ছোট ভাই খাইরুলকে খুন করে। এসময় খায়রুলের সাথে থাকা অপর ভাই রাসেলের হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে সদরুল ও আদমকে জড়িত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় সদরুল ও আদমসহ অন্যান্যরা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠান। সদরুল খুন হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে জামিনে মুক্তি পায়।

গত ২৩ অক্টোবর শুত্র“বার রাতে কালিগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে এমএমবি ইট ভাটার সামনে পৌছা মাত্র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হন ইটাকুমারী ইউনিয়নের কুখ্যাত সন্ত্রাসী সদরুল ইসলাম। নিহত সদরুল মেম্বার পীরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা ও ভোট ডাকাতি, নাশকতা সহ বেশ’কটি মামলায় পুলিশের তালিকা ভুক্ত আসামী ছিলেন। এলাকাবাসি বলছে নানান কথা খুনের বদলে খুন না এর পিছনে অন্য কোন হাত আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।

রিপোর্টারঃ কাজী শহীদুল ইসলাম। 

২৮ অক্টোবর ২০১৫

রংপুরের মফিজ নামকরণের ইতিহাস


আমরা যারা রংপুরের বাসিন্দা তাদেরকে অনেকেই মফিজ বলে। এইতো বছরখানেক আগে জাতীয় সংসদে এরশাদমামু  দারিয়ে বলেছিলো মফিজ বলবেন না, মাফিজ বললে মনে ব্যাথা পাই। এরশাদ মামু যদি জানতো মফিজ নাম কেমন করে হয়েছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বলে দিতো। যাই হোক এরশাদ মামু বলতে পারে নাই। এখন শুনুন মফিজ নাম কিভাবে হয়েছে।

আজ থকে প্রায় ৪০ বছরের আগে রংপুরের রৌ মাড়ি, চিলমারী, নাগেস্বরী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় খুব বড় আকারের বন্যা হয়েছিলো। সেই ভয়াবহ বন্যায় অধিকাংশ মানুষের বাড়ি-ঘর, জমি-জমা এমনকি সর্বশেষ সম্বলটুকুও ব্রক্ষপুত্র নদীতে হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে মানবতর জীবন যাপন করছিলো। এক পর্যায়ে সেখানকার মানুষ জীবন বাঁচার তাগিদে কাজের সন্ধানে ঢাকায় আসতে শুরু করে।

এজন্য তারা রংপুরের মর্ডান বাসষ্টানে এসে উপস্থিত হয়। সে সময়ে জানবাহন কম ছিলো কিন্তু দালাল ছিলো বেশি। বাসের দালালকে তো সবাই চেনেন। দালালরা যত বেশি যাত্রী বাসে উঠিয়ে দিতে পারবে ততো বেশী তাদের কমিশন। সেই সময়ে মর্ডানে একজন দালালের ছিলো নাম ছিলো মফিজ উদ্দিন যাকে সবাই মফিজ বলে ডাকতো। বন্যা কবলিত লোকদেরকে দেখে মফিজ মিয়া তাদের জিজ্ঞাস করলো, আপনারা সবাই কোথায় যাবেন? উত্তরে সেই মানুষগুলো তাদের ঢাকা যেতে চাওয়ার কারণ ও দুঃখের কষ্টের কথাগুলো মফিজ মিয়াকে বুঝিয়ে বললো।

তখন ঢাকা যাবার ভাড়া ছিলো ১০০ টাকা। মফিজ মিয়াকে সবাই অনুরোধ করে বললো যে, কি ভাবে তারা অল্প টাকায় ঢাকায় যেতে পারবে। তখন মফিজ মিয়া বললো, বাসের ছাদে গেলে তারা অর্ধেক ভাড়ায় অর্থাৎ ৫০ টাকায় যেতে পারবে। অতঃপর সবাই রাজি হয়ে যায় এবং বাসের ছাদে চরে ঢাকায় আসে। তখন থেকে শুরু হয় অর্ধেক ভাড়ায় বাসের ছাদে চরে ঢাকায় যাওয়া। আর এভাবেই উত্তর বঙ্গের মানুষ দারিদ্রতার কারণে অর্ধেক ভাড়ায় বাসের ছাদে চড়ে ঢাকায় আসার সুযোগ পায়। একসময় এটা স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়।

রাস্তায় কন্ডাকটাররা ভাড়া কালেকশনের সময় হেল্পারদের ছাদে পাঠিয়ে বলে, দেখতো মফিজের কতোজন লোক আছে? মানে মফিজ কতোজনকে বাসের ছাদে উঠিয়ে দিয়েছে। আর এ কথাটাই এক সময় কন্ডাকটাররা হেল্পারকে বলতে শুরু করে যে, দেখতো ছাদে মফিজ কতোজন আছে। এরপর থেকেই যারা বাসের ছাদে চড়ে ঢাকায় আসে তাদেরকে মফিজ বলা হয়। উত্তরবঙ্গের লোক গরিব। অর্ধেক ভাড়া দিয়ে বাসের ছাদে চড়ে ঢাকা যাওয়া আসা করে। এই দারিদ্রতার কারনেই তাদেরকে মফিজ বলা হয়। যদিও বর্তমানে উত্তরবঙ্গের লোকদের অনেক উন্নতি হয়েছে তবুও সেই আগের নামটি রয়েই গেছে ঢাকা শহরে।

বিপোর্টারঃ RS Mehedi Hassan

২৬ অক্টোবর ২০১৫

তোজাম্মেল হক মুন্সি - পীরগাছার প্রবীন সাংবাদিক


পরিচয়ঃ রংপুর জেলার পীরগাছা থানার অনন্তরাম গ্রামের মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন তোজাম্মেল হক মুন্সি। পিতাঃ মরহুম জহির উদ্দিন মুন্সি, মাতা মরহুম রহিমা বেওয়া। ২ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি ৫ম। তার বড় জেঠ্যা মরহুম মহির উদ্দিন তৎকালিন মেম্বার ছিলেন। দাদা মরহুম আলহাজ্ব চেমরু ধণী বিশিষ্ট সমাজ সেবক ছিলেন।

ব্যক্তিত্বঃ সত্য প্রসঙ্গে বলতে হয় সাংবাদিক মুন্সি একজন ইসলামী মাইন্ডেড মানুষ। বংশগত রীতি হিসাবে ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সকাল বেলা বাড়ির পাশে মুক্তবে কারী হিসাবে শিক্ষকতা করেন। তার কন্ঠস্বর সুমধুর কন্ঠস্বর সবাইকে আবিভূত করে।

ক্যারিয়ারঃ সাংবাদিকতায় তার রয়েছে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা। রংপুর থেকে প্রকাশিত মরহুম এডভোকেট আনিসুর জামান এর সাপ্তাহিক রাঙ্গা প্রভাত পরবর্তীতে দৈনিক রাঙ্গা প্রভাত পত্রিকার ১৯৮৭ সালে পীরগাছা প্রতিনিধি হিসাবে প্রথম সাংবাদিকতা শুরু করেন। ‘প্যকেট সাবধান’ ও ‘পাকিস্তানের কারাগারে ৪০ জন নরো নারী’ শিরোনামের দুটি সংবাদ দিয়ে তার লেখালেখি জীবনের সূচনা হয়। তারপর তিনি ১৯৯৩ সালে  দৈনিক যুগের আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। অতঃপর তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আলামিন পত্রিকায় ১৯৯৬ সালে লেখালেখি করেন। বর্তমানে রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক পরিবেশে ২৪ বছর ধরে পত্রিকাটির জন্মলগ্ন থেকে পীরগাছার নিজেস্ব প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছেন নিয়মিত।

অবদানঃ তার ছাত্র জীবনের প্রথম দিকে নিজেস্ব অর্থে  একটি কাদরে-এলাহী ক্কারীয়ানা মাদরাসা স্থাপীত করেন এবং নিজেই শিক্ষকতা শুরু করে এলাকার ভবিষৎ প্রজন্মকে কোরআন শিক্ষা দিয়ে এলাকায় ব্যাপক সুনামের অধিকারী হন । বর্তমানে উক্ত ইসলামী প্রতিষ্ঠান অনন্তরাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে সুপরিচিত। উল্লেখ্য যে উক্ত প্রথমিক বিদ্যালয়টি দোতালা পরিণত সহ উন্নয়নের ছোয়ায় ভরপুর বলে তিনি সাক্ষাতে জানান।
এছাড়াও অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে পীরগাছা রেল ষ্টেশন জামে মসজিদের তৎকালীন কয়েকজন মুসল্লীদের নিয়ে নামাজ শুরু করেন ষ্টেশনের ফাকা পরিত্যাক্ত জায়গায়। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী বর্তমানে ষ্টেশন মসজিদের সেই নামাজ ঘর এখন বিশাল ফাউন্ডেশন তথা অত্র মসজিদ কমিটির সভাপতির আপ্রান প্রচেষ্টায় এবং বর্তমান খতিব আলহাজ্ব মহিউদ্দিনের সার্বিক সহযোগীতায় পীরগাছা রেল ষ্টেশন জামে মসজিদটি একদিকে যেমন ইয়ারকন্ডিশন অপরদিকে আল্লাহর অশেষ রহমতে দোতালার কাজ প্রায় শেষের পথে।

পেশাজীবনঃ লেখাপড়ার পাশাপাশি ১৯৭৮ সাল থেকে পীরগাছা বাজারে প্রথমে নেকমামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যৌথ উদ্দগ্যে একটি লাইব্রেরীর ব্যবসা করেন। পরিশেষে বইয়ের ব্যাবসা বাদ দিয়ে নিজেস্ব উদ্দগ্যে নিরিবিলি নামে একটি পীরগাছা হাই স্কুলের জমিতে কাঠের ভাসমান দোকান দিয়ে পীরগাছা জেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবীন শিক্ষক অবসরপ্রাপ্ত আবুবক্কর স্যারের জুবেদা লাইব্রেরীর পাশে একটি দোকান ঘর বসিয়ে পানের দোকান সহ বিভিন্ন মুদির দোকানের ব্যাবসা শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে শিক্ষার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে দোকানঘর হাইস্কুলের জামিতে পজেশন নিয়ে ব্যাবসা করেন। বর্তমানে তার পীরগাছা বাজারে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে তিনি জানান।

সংসারজীবনঃ স্ত্রী আনজু মনোয়ারা বেগমকে নিয়ে সাংবাদিক মুন্সির ৩৩ বছরের সুখ দুঃখের সংসার। বর্তমানে সাংবাদিক মুন্সির ২ ছেলে রাজু মুন্সি, মোঃ রাজিব মুন্সি ও ২ মেয়ে যথাক্রমে তহমিনা আক্তার লিপি ও ছোট মেয়ে তাম্মান্না আক্তার শিল্পি। বড় ছেলে অনার্স পর্যন্ত শিক্ষার্থী থাকার পর ব্যাবসায় জড়িত এবং বিবাহিত। ছোট ছেলে রাজিব মুন্সি পীরগাছা ডিগ্রী কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের প্রথম বর্ষের ছাত্র । পাশাপাশি সে পীরগাছা আমাদের বার্তার নামক পত্রিকার সম্পাদক। বড় মেয়ে ডিগ্রি পাশ এবং বিবাহীতা এবং ছোট মেয়ে রংপুর রোকেয়া কলেজের অনার্স  থার্ড  ইয়ার এবং বিবাহীতা বলে জানা গেছে।

শিক্ষাজীবনঃ তিনি পীরগাছা হাজি সফের উদ্দিন মাদরাসায় পরে চৌধুরণী ফাতেহিয়া সিনিয়ার মাদরাসায় পরাশুনা করা কালীন মোংলাকুটি নামক গ্রামে শাজাহান ওরফে সাজু মন্ডলের বাড়িতে গৃহশিক্ষক (লজিং) মাষ্টার হিসাবে ছিলেন। তার লজিং থাকাকালীন ৮০ দশকে তার ব্যাবসার ফাকে একাধিক ছাত্র ছাত্রীকে পড়াতেন। তার অনেক ছাত্র ছাত্রী এখন বিভিন্ন উচ্চতর পেশায় নিয়োজিত বলে তিনি জানান।

শেষকথাঃ সাংবাদিকতায় তিনি পুরোপুরি সফল বলে তিনি জানান। দৈনিক পরিবেশের সম্পাদক ও প্রকাশক একেএম ফজলুল হক তার সাংবাদিকতার পিছনে অনেক অবদান রেখেছেন বলে সাংবাদিক মুন্সি অকপটে স্বীকার করেন। তার নাম সহ প্রকাশিত সংবাদের কপিগুলো এখনো তার কাছে জমা রয়েছে। বর্তমানে তার জীবন আল্লাহর অশেষ রহমতে স্ত্রী পুত্র ছেলে সন্তনকে নিয়ে তিনি ভালই আছেন ।  কারন তিনি বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলে নিয়োজিত নন। তিনি সকল দল মত নিবিশেষে প্রশাসনের সঙ্গে সু সম্পর্ক  রেখে তার সাংবাদিকতার মত মহান পেশায় জড়িত। তিনি সকলের দোয়া কামনা করেন।

২৪ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছায় আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা


পীরগাছায় সদুরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সদুরুল ইসলাম স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। শুক্রবার রাতে পীরগাছার উপজেলার দামুড় চাকলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ইটভাটা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ও খুনের বদলা হিসেবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে দাবি করেছেন পুলিশ ও এলাকাবাসী। এদিকে, খবর পেয়ে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীনসহ জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ পীরগাছা থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত সদরুল ইসলামের সাথে একই এলাকার আসাদুজ্জামান রুজু’র ইটভাটার আধিপত্য নিয়ে ১ বছর পূর্বে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে আসাদুজ্জামান রুজুর চাচাতো ভাই খাইরুল ইসলাম নিহত হন। এঘটনায় সদরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হলে ওই মামলায় গত ৩ ডিসেম্বর/১৪ সে আদালতে আতœসমর্পন করে। দীর্ঘ ১ বছর জেল-হাজতে আটক থাকার পর ১৪ সেপ্টেম্বর/১৫ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায় সদরুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী সন্দেহ পোষন করে বলেন, পূর্বের হত্যাকান্ডের জের ধরে সদরুল ইসলামকে খুন করে প্রতিশোধ নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় তারা এই খুনের ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

বেলাল হত্যা মামলায় সদরুল মেম্বরকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন আসাদুজ্জামান রুজু। মামলায় পুলিশ সদরুল মেম্বারকে গ্রেপ্তার হয়ে কয়েকদিন আগে জামিনে থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর শুক্রবার রাত দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

এলাকাবাসীর ধারণা সদরুল মেম্বারকে বেলাল খুনের বদলা হিসেবে খুন করেছে দুর্বত্তরা। ইটভাটায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য সদরুল ইসলাম খুনের ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে ১৫ ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের থানা হাজতে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

থানা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের দামুচাকলা বাজারের পার্শ্বে এমএমবি ইটভাটা থেকে ওই আওয়ামীলীগ নেতার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। পরে রংপুরের সিনিয়র এএসপি (বি-সার্কেল) সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার সময় সদরুল ইসলামের সাথে থাকা মোটরাসাইকেল চালক আব্দুল জব্বার (৩৫), এমএমবি ইটভাটার নৈশ্য প্রহরী বুদ্ধি মেম্বার (৫০), আমির হামজা (৪০) ও হাজী আব্দুর রশিদ (৫৫) নামের ৪ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এদিকে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, দূর্বৃত্তরা নিহত সদরুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে এবং মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন। এঘটনায় নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে এজাহারনামীয় আসামী হিসেবে আটক আমির হামজাকে গ্রেফতার এবং অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক রাখেন। তিনি বলেন, নিহত সদরুল মেম্বার পীরগাছা থানার একটি হত্যা ও নাশকতার মামলাসহ বেশক’টি মামলার আসামী এবং পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন।

সোর্সঃ ওয়ান নিউজ বিডি ও Harun Ar Rashid

২৩ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছার অধিকাংশ মাদরাসা সমূহে অপ্রিতিকর ঘটনা


আর এসব ঘটনায় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শিক্ষা কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি । কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘারে চাপানোর মত ভয়ভীতি দেখিয়ে চাকরী যাবে এই হুমকি প্রদান করে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা উপার্জন করে থাকেন স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা সহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এইতো আমাদের পীরগাছা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হালচাল।

পীরগাছার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান সৈয়দপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসায় গত ১৯ শে অক্টোবর পরীক্ষা চলাকালীন কর্তব্যরত শরীরর চর্চা বিষয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (নাম প্রকাশ করা হলো না) শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানী করতে থাকে। এ উপলক্ষে গত ২১ শে অক্টোবর মাদরাসার অভিভাবক সচেতন জনগন তথা আফতাব মেম্বার, ফারুখ হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলী খলিফা, জয়নাল আবেদিন, আবু তাহের সহ অভিভাবকদের নেতৃত্বে এক বিক্ষভ মিছিল বের করেন। বিষয়টিকে ঘিরে অত্র মাদরাসায় প্রত্যেকটিরুমে তালা দিয়েছে স্থানীয় জনগন। মাদরাসার সুনাম অখুন্ন রাখতে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাপাচা দেয়ার জন্য ভিকটিমের পরিবার সহ অন্যান্য টাকাখোর শিক্ষক ও রাজনৈতিক নেতৃবিন্দ জোড়ালো প্রচেষ্টা চালচ্ছে।

আজ ২৩ শে অক্টোবর শুক্রবার কিসামত ঝিনিয়া দাখিল মাদরাসার ক্বারী শিক্ষক ৮ বছর ধরে অনুপস্থিত। রহস্যজনক কারনে মাদরাসায় পুনরায় শিক্ষকতা করতে আসে। উক্ত ক্বারী শিক্ষক মাদরাসা প্রাঙ্গনে আসাকে কেন্দ্র করে মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান বনাম গ্রামবাসীদের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে অপ্রীতিরক ঘটনার আশংকা। আজ শুক্রবার উক্ত শিক্ষক নেপথ্য কাহিনিকে কেন্দ্র করে মাদরাসা প্রঙ্গনে বনতাজ ব্যপারী আহবানে এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন বৈঠক শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নাও হতে পারে।

ইতিপূর্বে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় পীরগাছা থানায় কমপক্ষে ১০ টি নারী শিশু মামলা রুজু করা হয়েছিলো। গোপাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের কেলেঙ্কারী। অবশেষে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা। অসহায় শিক্ষকের এ জাবত অর্থদন্ড হয়েছে কম পক্ষে ২ লক্ষ টাকা। গোপাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির উক্ত শিক্ষক এ যাবত ভোগান্তীর শিকার। পরিশেষে মামলাগুলো সামাজিকভাবে বৈঠকের মাধ্যমে ১ লক্ষ হতে দের লক্ষ টাকা রফাদফা হবার পর মিমাংশা করা হয়।

চৌধুরাণী ফাতেহিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রিন্সিপালকে যেতে হয়েছে জেল হাজতে। গোটা পীরগাছা উপজেলায় কোন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তির শিক্ষার পরিবেশ নেই বললেই চলে। সৈয়দপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসার নেপথ্য ঘটনার সত্য ঘটনা অবলম্বনে ভিকটিম যদি তার সত্যকে ধামাচাপা দেয় তাহলে শিক্ষক নির্দোষ হবে। শুধু মাদরাসার শুনাম অখুন্ন রাখতে হবে ইহাই মনে করেন অত্র এলাকার নামেমাত্র জ্ঞানী গুনী মানুষগুলো।

২২ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছায় চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের সহযোগীতায় ১১ বছরের মেয়ের বাল্যবিবাহ


গত ২১ শে অক্টোবর পীরগাছা উপজেলার মন্তার বাজার সংলগ্ন ১১ বছরের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীরকে দিয়ে সপ্তম শ্রেণীর ১৩ বছরের বরের সহিত বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হয়। এ বাল্য বিবাহে অংশ নেয় পীরগাছার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও পুলিশিং কমিটির লোকজন সহ অন্যান্য প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃ বিন্দ।

 ওরা আইন জানে, কিন্তু আইন মানে না। বিাবাহের দিন সাংবাদিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে গেট প্যান্ডেল সব সরিয়ে ফেলে মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে। অতঃপর সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হলে সেখানকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃবিন্দ ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিককে হুমকি দেয়। তারা হুমকি দিয়ে বলে যে, এটা আমার ওয়ার্ড। এখানে আমার অনুমতি ছাড়া কোন সাংবাদিক আসতে পারে না।

ঘটনাটির মূল হোতা হচ্ছে ঘটক। সে মাত্র ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে নিরঅপরাধ দুজন অবুঝ ছেলে মেয়ের জীবন নষ্ট করলো। ঘটকের মাধ্যমে আচলনা সাপেক্ষে দুলালীর বিয়ের আয়োজন পারুলের জনৈক পুলিশিং কমিটির এক নেতার বাড়ি তথা গুঞ্চরখা দুলালীর শ্বশুর বাড়ি।

দুলালী যেহেতু পি এস সি পরীক্ষা দেবে এটাই যথেষ্ট, বেশি লেখাপড়া করে লাভ কি এই মন্তব্য অভিভাবকদের। তাই ১১ বছর বয়েসেই দুলালিকে বধু হতে হলো।

২১ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছায় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী


রংপুরের পীরগাছা সৈয়দপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে পরীক্ষা কক্ষে যৌন হয়রানী করায় ফুঁসে উঠেছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপার চেষ্টা চালানোয় গতকাল বুধবার সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করে মাদ্রাসায় তালা লাগিয়ে দেয় এলাকাবাসী। ঘটনাটি নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার সকাল থেকে মাদ্রাসা হল রুমে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরীক্ষা চলছিল। এসময় কক্ষে দায়িত্বরত শরীরর চর্চা বিষয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (নাম প্রকাশ করা হলো না) শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানী করতে থাকে। ঘটনাটি দেখে ফেলে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। পরে তারা অধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ আলমগীর ও উপাধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক এর নিকট এর বিচার দাবীসহ ওই শিক্ষার্থীর পিতা জগতপুর গ্রামের ফজলুল হক ঠান্ডা লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ দাখিলের পরও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিচার না করে অজ্ঞাত কারনে কালক্ষেপন করতে থাকে। এসুযোগে একটি প্রভাবশালী মহল জনৈক ইউপি সদস্য ও কথিত এক গণমাধ্যমকর্মীর মাধমে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি চাপা দেন।

এব্যাপারে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী আব্দুল আউয়াল, অভিভাবক আতিয়ার রহমান ও আফছার আলী বলেন, এঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না করে অধ্যক্ষের পরামর্শে উপাধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযুক্ত শিক্ষকের নিকট থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি ফাঁস হলে এলাকাবাসী বুধবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষকদের কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়।

অধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, তিনি মাদ্রাসার কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ঢাকা থেকে ফিরে রোববার স্থানীয়ভাবে বিষয়টির সমাধান করবেন। 

পীরগাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি মাদ্রাসায় উত্তেজনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
রিপোর্টারঃ Harun Ar Rashid

পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের জমিজমা নিয়ে বড়ভাই ছোট ভাই দ্বন্দ



আইন তার গতিতে চলে। আইনের উর্দ্ধে কেউ না। পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের আদম মৌজার ঢিং পাড়া গ্রামের আছিমু্িদ্দন ও ছোট ভাই আব্দুস সাত্তারের মধ্যে জামিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যেকার পারিবারিক অপ্রিতিকর ঘটনাটি অবশেষে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন বড় ভাই আছিমুদ্দিনের পরিবার। সহজ সরল আছিম উদ্দিন পেশায় একজন মসজিদের মুয়াজ্জিম কয়েক যুগ ধরে অত্র সমাজের মসজিদের মুয়াজ্জিমি করে ধর্মের কাজে নিয়োজিত। এলাকাবাসী তার সভাব চরিত্র ভালো হওয়ার ফলে মুয়াজ্জিম হিসাবে তার দায়িত্ব যথার্থভাবে পালন করায় আছিম উদ্দিনের বিষয় নিয়ে কোন সামাজিকভাবে ওজর আপত্তি নেই বলে জানান।

আছিম উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে এবং এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো তথা আত্নীয় স্বজন এবং রাজনৈতিক নেতৃবিন্দ পীরগাছা উপজেলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের নিকট ঘটনার বর্ণনা তথা আব্দুস ছাত্তারের বিষয় দুঃখ ও ক্ষেভ প্রকাশে জানান আব্দুস ছাত্তার যে জামিতে শক্তি ও ক্ষমতা দিয়ে ঘর নির্মান করে বসবাস করছেন উক্ত জমিটুকু মাওলানা আব্দুস ছাত্তারের নয় মর্মে জমির প্রকৃত মালিক ফরিদ মাহমুদের বড় পুত্র সহজ সরল আছিম উদ্দিন গং। জোর পূর্বক ভাবে বিল্ডিংঘর নির্মান করে বসবাস করছে ছোট ভাই। শক্তির বাহুবল না থাকার ফলে আছিম উদ্দিনের পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয় যদি তারা কাগজপত্র এবং জমির প্রকৃত মালিক স্বাক্ষ্য প্রমাণে আদালতে প্রমাণিত হলে তার মাধ্যমে জমি পান আছিম উদ্দিন, তাহলে জমি বুঝে নিবেন। আছিম উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে আরো জানান শক্তি দিয়ে তারা জমি জমা দখল করতে গেলে হয়তো আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। তাই তারা আইকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিজ্ঞ আদালতের নিকট উকিলের মাধ্যমে দ্বারস্থ হয়েছেন বলে সাংবাদিকদের নিকট তাদের পারিবারিক বিষয়ে আব্দুস ছাত্তারের বিষয়ে জানান।

উল্লেখ্য যে আব্দুস ছাত্তার মওলানার বাড়ির পাশেই আছিম উদ্দিন গং দের নিজে জমি তথা পুকুর রয়েছে। বড়ই পরিতাপের বিষয় বাড়ির পাশেই পুকুর খননকে কেন্দ্র করে আব্দুস সাত্তার স্থানীয় প্রশাসনের নিকট বিচার দাবী জানান। স্থানীয় প্রশাসন মাওলানা আব্দুস ছাত্তারের অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ কর্তৃক আছিম উদ্দিনের পুত্র মোঃ সুলতানকে আটক করে এবং ভ্রাম্যমান আদালতে শাস্তি প্রদান করা হয়। এদিকে উক্ত পরিবারের লোকজন আরো জানান ছাত্তার মাওলানা যেহেতু বিভিন্ন প্রভাব খাটাচ্ছে পুলিশ দ্বারা হয়তো মিথ্যা অজুহাতে তাদের জান মালের ক্ষতি করতে পারে এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করতে পারে এজন্য বিজ্ঞ স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছেন।

এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন সাক্ষাতে জানান তাদের সমাজে যুগ যুগ ধরে মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসাবে ৫ ওয়াক্ত নামাজের আজান দিয়ে আসছিলেন। পুলিশের ভয়ে কিছুদিন থেকে মুয়াজ্জিন আছিম উদ্দিন মসজিদে আসেন না এমনকি মসজিদে নামাজের পূর্বে আজানও দিচ্ছেন না। এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো দাবী আছিম উদ্দিন ও মাওলানা আব্দুস ছাত্তার পিতাঃ ফরিদ মাহমুদ সেই মর্মে ভাই হয়ে অপর এক ভাইয়ের সাথে জমি জমা নিয়ে যেহেতু বিবাদ চলে আসছে, উক্ত বিবাদগুলো শান্তিপূর্ণ পরিবেশে স্থানীয় থানা পুলিশের মাধ্যমে থানা গোল ঘরে বসে উভয় পক্ষের জমির দলিলপত্র তদারকির পর হাড়া হারি সুত্রে নিস্পত্তি করা আশু প্রয়োজন। মামলা মোকদ্দমা সহ জেল জারিমানার বিষয়টি কখনো পারিবারিকভাবে শান্তি আসবেনা বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন।

রহস্য অনেক লুকিয়ে রয়েছে। মাওলানা আব্দুস ছাত্তার নাশকতার মামলার আসামী হয়ে আদালত অবমাননার দায়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু ছিলো মর্মে সম্প্রতি সময়ে পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের নির্দেশে এসআই মালেক তাকে গ্রেফতার পূর্বক জেল হাজতে প্রেরন করেছিলো বলে এ প্রতিনিধি থানা সুত্রে অবগত হয়েছেন।  জমি জমাকে কেন্দ্র করে দুটি পরিবারের মাঝে মামলা আতঙ্ক সহ পরিবারিক অশান্তি বিরাজ করছে। আগামী সংখ্যায় তদন্ত সাপেক্ষে সংবাদ প্রকাশ করা হবে দুই ভাইয়ের নেপথ্য কাহিনী।

১৯ অক্টোবর ২০১৫

মসজিদে ভিতরেও মুসল্লি ও ইমাম সহ সবার মোবাইলে বাজছে রিংটন

পূর্বে ছোট শিশু নামাজিদের মসজিদের এক কোনে রাখা হত যাতে তারা শব্দ সৃষ্টি করে অন্যদের নামাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে না পারে । অথচ এখন অবাক হয়ে দেখতে হয় বড়রাও যেন ছোটদের তুলনায় কিছু কম নয় । তাদের খামখেয়ালিপূর্ণ আচরনের কারনে অনেক আল্লাহভক্ত নামাজি ব্যাক্তিদের মুখ বুজে সহ্য করতে হয় । কিন্তু এটাও তো সত্য যে অন্যের করা মোবাইলের আওয়াজে তার নিজেরও সমস্যা হয় । তবুও আমাদের বোধদয় হয় না । আমরা এসবকিছু ভুলেগিয়ে আবারো নতুন করে ভুল করি । এ যেনো আমাদের ছাড়ছেই না ।

বিজ্ঞ মুসল্লিরা দুঃখ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান মসজিদের ভিতরে আসরের নামাজ, মাগরিবের নামাজ, এশার নামাজ, ফজরের নামাজ ও জোহরের নামাজ আদায় কালিন এক শ্রেণীর নামাজীর সঙ্গে পকেটে থাকা মোবাইল ফোনে রিংটন ৩০ সেকেন্ড অথবা ১ মিনিট বিভিন্ন ধরনের রিংটোন নামাজ আদায়কালীন যখন শব্দ আসে তখন নামাজীদের নামাজ আদায়ে বিশেষভাবে বিঘ্ন ঘটে । আপনিও হয়তো এমন পরিস্থিতির স্বীকার ।

উল্লেখ্য যে পীরগাছা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুজ্জাহের, পীরগাছা রেল ষ্টেশন জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মহিউদ্দীন অপরদিকে উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, দেউতি জামে মসজিদের খতিব, পাওটানা হাট জামে মসজিদের খতিব, সাতদরগা বাজার জামে মসজিদের খতিব, সৈদপুর জামে মসজিদের খতিব, বড়দরগা বাজার জামে মসজিদের খতিব, চৌধুরাণী জামে মসজিদের খতিব নামাজ চলাকালীন এক শ্রেণীর নামাজীরা ফোন বন্ধ করেন মসজিদের ভিতরে গিয়ে । অনেক ইমাম সাহেব গনও এ ধরনের ভুল করেন । যদিও তারাই মোবাইলের বিষয়ে নামাজের পূর্বেও অবগত করে থাকেন । এমনকি প্রত্যেকটি মসজিদের ভিতরে এবং বাইরে আপনার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রাখুন এ কথাও দেওয়ালে পোষ্টারিং সহ সুন্দর কাগজে লেখা রয়েছে ।

আমাদের সমাজের অধিকাংশ নামাজির নামাজ সম্পর্কে অবগত নেই। নামাজ হচ্ছে আল্লহকে সন্তুষ্ট করা। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে যেয়ে আমরা অন্য একজন নামাজীর ইবাদত নষ্ট করে থাকি। একজন নামাজির নামাজ নষ্ট করা  কোন সচেতন নামাজীর ইখতিয়ার নেই । কারন নামাজ হচ্ছে বেহেস্তের চাবি । নামাজ পড়তে গিয়ে আল্লাহর ঘরের মধ্যে বেপরোয়া ভাবে গান বাজনা, দোতরা, হারমনি, বিভিন্ন রংবেরং এর সুরের রিংটন আল্লহর ঘরের ইবাদতে শামিল হওয়া মুসল্লিদের নামাজের বিঘ্ন ঘটবে ইহা কখনো আল্লাহ সহ্য করবেনা না এবং কাম্য নয় । নামাজের মধ্যে উহ্ আহ্ জাতীয় সামান্য একটু শব্দ হলেও নামাজে ত্রুটি আসে। নামাজ কবুল নাও হতে পারে আল্লাহর দরবারে। কিন্তু মোবাইলে নামাজের সময় রিংটোনের মাধ্যমে যে নামাজী মসজীদের সকল নামাজীদের নামাজ বিঘ্ন ঘটালো এর শাস্তি কতটুক হবে এর বিষয়ে সকল বিজ্ঞ ইমামগন হাদিস ও কোরআনের মাধ্যমে জানানোর আশু প্রয়োজন আছে । নামাজ সম্পর্কে এবং নামাজীদের মধ্যেও তাস খেলোয়ার রয়েছে, মদ খোর রয়েছে, সুদ খোর রয়েছে, ঘুস রয়েছে এ বিষয়ে আল্লহর ঘর জিয়ারত করেছেন আল্লহর মেহমান হাজি সাহেবগনও রয়েছে । কার নামাজ কবুল হবে ইহা একমাত্র আল্লাহপাকই ভালোভাবে জানেন ।

১৮ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছায় নিখোঁজে ৩ মাসেও খোঁজ মেলেনি প্রতিবন্দী কোহিনুরের


 মোবাইল-০১৭২৩৩১৫৯৬০ । রংপুরের পীরগাছায় নিখোঁজের ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো খোঁজ মেলেনি প্রতিবন্দী কোহিনুর বেগমের। কোহিনুর বেগমের পরিবার ৩ মাস ধরে তাকে আয়ত্নী-স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তার কোন সন্ধান পাননি। এব্যাপারে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। 

জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের রামচন্দ্র পাড়া গ্রামের মৃত ছফির উদ্দিনের প্রতিবন্দী মেয়ে কোহিনুর বেগম (৪৭) গত জুলাই মাসে পবিত্র ইদুল ফিতরের কয়েকদিন আগে কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এরপর তার পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পীরগাছা থানায় একটি জিডি করেন। যার নং-১২১৫। কোন হৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পেলে মোক্তার হোসেন, চৌধুরাণী বাজার, পীরগাছা, রংপুর অথবা মোবাইল-০১৭২৩৩১৫৯৬০ এ জানানোর জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। 

আজিজুল্লাহ যমুনা বহুমুখী সমিতি’র বার্ষিক সভা


গত শুক্রবার রংপুরের আজিজুল্লাহ বাজারে যমুনা বহুমুখী সমবায় সমিতি’র কার্যালয়ে বার্ষিক বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক।

গত শুক্রবার মহানগরীর আজিজুল্লাহ্ বাজারে যমুনা বহুমুখী সমবায় সমিতি’র কার্যালয়ে বিগত অর্থ বছরের সমিতি সাফল্যের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে নুতন বছরের বাজেট পেশ করেন সমিতির সভাপতি মোসফেকুর সালেহিন মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিঠাপুকুর উপজেলার সমবায় অফিসার জাহাঙ্গীর আলম,পলাশবাড়ী উপজেলার সমবায় অফিসার মিজানুর রহমান। সমিতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সাধারন সম্পাদক কৈলাশ চন্দ্র সরকার, পরিচালক মন্ডলির সদস্য বেলাল হোসেন, সুভাস চন্দ্র সরকার । সভায় সমিতির অন্যান্য সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব প্রমুখ । সভায় সভাপতি বিগত অর্থ বছরে সমিতি অধিক মুনাফা অর্জন করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন বৃক্ষরোপন,গরু মোটা-তাজা করণ, সেলাই ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, মৎস্য চাষ, শিশু বিবাহ ও বহু বিবাহ প্রতিরোধ এবং একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের মত উন্নয়ন মুলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য সকলকে নিরলস ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

রিপোর্টারঃ শহীদুল ইসলাম ।

পীরগাছায় মামলা করে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদি


পীরগাছায় জমিজমা নিয়ে মামলা করায় বাদী ও তার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি,  মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ নানা ভয়ভীতির দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ আসামীদের না ধরায় আসামীদের অব্যাহত হুমকির মুখে বাদি ও তার পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। 

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পরান গ্রামের রাজা মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার সন্ত্রাসী জবেদ আলী ও আমিনুল ইসলাম গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ২১ সেপ্টেম্বরও ওই সন্ত্রাসীরা একত্রে দলবল নিয়ে রাজা মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা তার পরিবারের ৫ ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। এঘটনা গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজা মিয়া বাদি হয়ে ২২ জনকে আসামী করে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

ঘটনার পর থেকে আসামীরা বেড়ালেও পুলিশ আসামীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে তাদের ধরছে না। বরং আসামীরা বাদি রাজা মিয়াসহ তার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ মামলা তুলে না নিলে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। এঘটনায় বাদি রাজা মিয়া জীবনের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এব্যাপারে মামলার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, আসামী জামিনে রয়েছে। বাদিকে হুমকির বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি।

রংপুরে ৮৪১টি মন্ডপের মধ্যে পীরগাছায় ৮৬টিতে দুর্গাপুজা হবে


সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরি শেষে প্রতিমায় রং-তুলি ও সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের পালরা। আর মাত্র ৫ দিন বাকি। তাই তাদের ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে দ্বিগুন। পাশাপাশি চলছে মন্ডপ সাজসজ্জার কাজ। ১৯ অক্টোবর ষষ্টী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে ৫ দিনের দুর্গোৎসব। রংপুরে এ বছর ৮’শ ৪১টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে লোকজন যাতে নির্বিঘ্নে পূজার আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২’শটি ম-পকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৬০টি পূজা মন্ডপকে।

রংপুরের পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক পিপিএম জানান, পূজায় কোন উগ্রপন্থী শক্তি যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। হিন্দু ধর্মাম্বলীরা যাতে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন ও আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেই সাথে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে থাকবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, এ বছর জেলায় ৮’শ ৪১টি মন্ডপের মধ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১’শ ৩৭টি, সদর উপজেলায় ৮২, বদরগঞ্জে ১’শ ১৯, মিঠাপুকুরে ১’শ ২০, গঙ্গাচড়ায় ৯৫, পীরগাছায় ৮৬, কাউনিয়ায় ৫২, পীরগঞ্জে ৮৭ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় ৬৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন ও আনন্দ উপভোগ করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

রংপুর করুণাময়ী কালীবাড়ি মন্দিরের পুরোহিত দুলাল চক্রবর্তী জানান, শান্তি, স্থিতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক মহামায়া দুর্গা এ বছর অমৃতলোক থেকে মর্তলোকে ভক্তদের পূজা গ্রহণ করতে আসবেন ঘটকে (ঘোড়া) চড়ে। ৪ দিনব্যাপী পূজা অর্চনা গ্রহণ শেষে বিজয়া দশমীর বিসর্জনের মধ্যদিয়ে পুনরায় অমর্তলোকে ফিরে যাবেন দোলায় (পালকি) চড়ে। তিনি জানান, সুন্দর প্রতীমা তৈরির জন্য ঢাকা থেকে শিমুলিয়া শিল্পালয়ের মৃৎ শিল্পী বলাই পালকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে সহযোগিতা করছে রংপুরের মৃৎ শিল্পী বাপ্পি। গত বছরের চেয়ে এবারের প্রতীমা তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

১৭ অক্টোবর ২০১৫

জাপানি নাগরিক হত্যা, আরও ৫ দিনের রিমান্ডে হীরা


রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হুমায়ুন কবির হীরার আরও ৫ দিনের রিমা- মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার সন্ধ্যায় কাউনিয়া আমলী আদালতের বিচারক আবু তালেব এ রিমা- মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও হত্যা মামলার বাদী রেজাউল করিম জানান, এর আগে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে হীরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১০ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার সন্ধ্যায় আবারও ৫ দিনের রিমা- আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন ।

প্রসঙ্গতঃ ঘটনার দিন গত ৩ অক্টোবর বিএনপি নেতা রাশেদ-উন-নবী খান বিপ্লব ও নিহত কুনিও হোশির ব্যবসায়ীক অংশীদার হুমাযুন কবীর হীরাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৫ অক্টোবর সোমবার বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমা- আবেদন করলে আদালত তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  এদিকে, ১০ দিনের রিমা- শেষ না হতেই ১০ অক্টোবর শনিবার বিপ্লবের রিমান্ড বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় ।

রিপোর্টারঃ মমিনুল ইসলাম রিপন

পীরগাছায় নিয়োগ পত্রের দাবিতে অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ: শর্ত দিয়ে মুক্তি


রংপুরের পীরগাছায় রহিম উদ্দিন ভরসা মহিলা কলেজে ২টি বিষয়ে ৩ জন প্রভাষক নিয়োগ নিয়ে তালবাহানা করায় নিয়োগ প্রার্থীর পক্ষে গত শনিবার এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে কলেজের অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলীকে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় অবরুদ্ধকারীগণ নিয়োগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পীরগাছা থানার পুলিশ, স্থানীয় সাংবাদিকগন ও কলেজ গর্ভনিং বডির সদস্য মোস্তাফিজার রহমান রেজা ও আমিনুল ইসলাম রাঙার হস্তক্ষেপে ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগপত্র প্রদানের শর্তে এলাকাবাসী অধ্যক্ষকে মুক্ত করে দেন।

অভিযোগে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার রহিম উদ্দিন ভরসা মহিলা কলেজে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে ২ জন এবং ইংরেজি বিষয়ে একজন প্রভাষক নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে শুন্য পদে আহম্মদ হোসেন, সৃষ্ট পদে সাইফুজ্জামান মন্ডল এবং ইংরেজি বিষয়ে তাজুল ইসলামকে মনোনীত করা হয়। পরে কলেজের অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলী ওই ৩ প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদান না করে তালবাহান করতে থাকেন। তিনি নানা ছলে বলে কাল ক্ষেপন করতে থাকলে গত শনিবার এলাকাবাসী অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলীকে তার অফিস কক্ষে দুপুর ১১ থেকে ২ টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় অবরুদ্ধকারীগণ নিয়োগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানসহ চাপ প্রয়োগ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পরে পীরগাছা থানার একদল পুলিশ, পীরগাছার কর্মরত সাংবাদিকগন, সুধী মহল ও কলেজ গর্ভনিং বডির সদস্য মোস্তাফিজার রহমান রেজা ও আমিনুল ইসলাম রাঙার হস্তক্ষেপে ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগপত্র প্রদানের শর্তে এলাকাবাসী অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলীকে মুক্ত করে দেন। এব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলী জানান, উপস্থিত সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে। এ প্রসঙ্গে কলেজ গর্ভানিং বডি সভাপতি মমতাজ শিরিন ভরসা জানান, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমি বার বার নিয়োগপত্র প্রদানের নির্দেশ দিলেও অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলী কেন নিয়োগপত্র দিচ্ছেন না তা আমার বোধগম্য নয়।

রংপুরে গুলিতে নিহত জাপানি নাগরিক ঘাষ দিয়ে কি করতে চেয়েছিলো


রংপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত জাপানি নাগরিক হোসি কুনিওর উৎপাদিত কোয়েল ঘাসের প্রজেক্টটি গো-খাদ্যের জন্য ছিল না । এই জাতীয় ঘাসের উৎপাদন বাংলাদেশে এই প্রথম বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। এই জাতীয় ঘাস  চাষ করে শিল্প জ্বালানি তেল এবং উন্নতমানের জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব বলেও জানান। এছাড়া এ ঘাস থেকে মান সম্মত চিনি, মানুষের খাওয়ার উপযুক্ত উচ্চপুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন ও সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল জোগান দেওয়া সম্ভব ।

এদিকে, রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপপরিচালক ডা. সহিদুল ইসলাম। ডা. সহিদুল জানান, গো-খাদ্যের উপযোগী নয় বিধায় জাপানি নাগরিক কুনিও তার দপ্তর থেকে এ খামারের জন্য কোনো অনুমতি কিংবা কোন পরামর্শ নেননি। তিনি জানান, ঘাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে এ ঘাস ঢাকাস্থ প্রণিসম্পদ গবেষণাকেন্দ্রে পাঠানো হবে। তিনি এ ঘাসের নমুনা তার দপ্তরের আঙ্গিনাতে লাগিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ছোলায়মান আলী ফকির কুয়েল ঘাস সম্পর্কে জানিয়েছেন, এ ঘাসটি বাংলাদেশের পরিচিত ঘাষ নয়, এটি উৎপন্ন বা চাষও করা হয় না। এ জাতীয় ঘাসের কি কি গুণাগুণ রয়েছে তা পরীক্ষা করলে জানা যাবে। তবে এ জাতীয় ঘাস থেকে মানসম্মত চিনি উৎপাদন করা যায়।

গত ৩ অক্টোবর রংপুর নগরীর উপকণ্ঠে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি এলাকায় প্রকাশ্যে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে কুনিওকে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ এ ঘটনায় সেদিনই সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়। বিএনপি নেতা রাশেদুন্নবী বিপ্লবকে চার দিনের মাথায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেলা হাজতে পাঠানো হয়। অপর আসামি কুনিওর ব্যবসায়িক পার্টনার হুমায়ুন কবীর হিরা ১০ দিনের রিমান্ডে এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

এ ছাড়া যে বাড়িতে কুনিও ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিক জাকারিয়া বালা, যে বাড়ির সামনে কুনিও খুন হন, সেই বাড়ির মালিক খোকা মিয়ার পুত্র মুরাদ, প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক মোন্নাফ মিয়া এখনো আটক অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ১৯৪৯ সালে জাপানে জন্ম নেওয়া কুনিও হোশি এক বছরের ভিসা নিয়ে ৮ মাস আগে রংপুরে আসেন। নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকায় জনৈক জাকারিয়া বালার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করেন তিনি। জাকারিয়া বালা এক সময় জাপানে ছিলেন। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি জাকারিয়ার বাসায় থাকতেন। তার ভিসার মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের ৩১ মে পর্যন্ত। তবে তার অবস্থানের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে কিছু জানানো হয়নি।

রিপোর্টারঃ শেখ মামুনুর রশিদ

১৬ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছায় গভীর রাতে মসজিদের তালা ভেঙ্গে সোলারের ব্যাটারী চুরি

পীরগাছার ফড়িংগাপাড়ায় মসজিদের ব্যাটারি চুরি যাওয়ার বিষয় মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং চোর যেই হোক না কেন তাকে খুজে বের করার জন্য মসজিদ কমিটি সহ এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ব্যাটারিটির অনুসন্ধান চালায় । মসজিদ কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, ইউপি সদস্য ডাঃ আবুল আখের, রেজাউল করিম সহ মুসল্লিরা সম্প্রতি তাদের মসজিদের চুরি যাওয়া সোলারের ব্যাটারিটি খুজে বের করতে অনুসন্ধান করতে থাকেন । এক পর্যায়ে গোপনে জানতে পারেন যে হাবিল মিয়া পিতা সাহার আলী গ্রামঃ পবিত্রঝাড় এর বাড়িতে ব্যাটারিটি রয়েছে ।

অবশেষে মসজিদ থেকে চুরি যাওয়া সোলারের ব্যাটারিটি উদ্ধার করা হল সাহার আলীর বাড়ি থেকে। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে ব্যাটিরিটি যেহেতু পাওয়া গেল সাহার আলীর বাড়িতে সেই মর্মে সাহার আলীর পুত্র হাবিল ও রফিক পিতাঃ মৃত কাফাতুল্লহ এই ব্যাটারি চুরি যাওয়া সম্পর্কে বাস্তবেই প্রমান পাওয়া গেছে। বিষয়টি সুযোগ্য ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান রেজাকে অবগত করা হলে চেয়ারম্যান মসজিদের ব্যাটারি চুরি যাওযার ব্যাপারে কোন চোরের সঙ্গে আপস না করে আইনের আশ্রয় নেওয়া সহ চোরের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন।

চোর নিজেই মসজিদের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে লোহার খাচার তালা ভেঙ্গে ছোলারের ব্যাটারিটি চুরি করে নিয়ে গেছে বলে থানা পুলিশকে জানান। পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের নিকট মামলার বাদী গিয়াস উদ্দিন সহ এলাকাবাসী পরামর্শ ও আইনের আশ্রয় নিতে গেলে ওসি মসজিদের তথা আল্লাহর ঘরের জরুরী জিনিস যেহেতু চোর চুরি করেছে এ বিষয়ে কোন ছাড় দিতে রাজি না। ওসি মামলার বাদি সহ উপস্থিত লোকজন কে মামলা করার জন্য সৎ পরামর্শ প্রদান করেন এবং আসামীদের সাজা হয় এই মর্মে এজাহারের বিষয়টি সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য দারোগাদেরকে পরামর্শ প্রদান করেন। এ ব্যাপারে পীরগাছা থানায় একটি চুরির মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং ১২ ।

থানা সুত্রে জানা গেছে, চুরি যাওয়া মালামাল সহকারে যেহেতু হাবিলকে আটক করা হয়েছে এবং চোরের বাড়ি থেকে মাল উদ্ধার করা হয়েছে সেই মর্মে মামলার ধারা এজাহারে ৪৫৭, ৩৮০, ৪৪১ বলে জানা গেছে। মসজিদের ভিতর থেকে মালামাল চুরি, মসজিদের মাইক চুরি, মসজিদের টাকা চুরি, নামাজিদের জুতা বা স্যান্ডেল চুরি ইহা আইনগত অসামাজিক অপরাধ।

বিবেচনা পূর্বক সাজা হওয়ার পূর্বে আপস মিমাংসা হওয়াটা স্বাভাবিক।  কাফাতুল্লাহর পুত্র রফিক, সাহার আলীর পুত্র হাবিল মিয়া একজন মুসলমান ঘরের সন্তান। চুরির অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। গ্রেফতার করেছে, জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী হতে পারে অথবা মানবিক কারনে যে কোন সময়ে আপস হতে পারে ।

মন্থনার জমিদার বাড়ি (রাজবাড়ি)

সবুজের সমারোহের মাঝে প্রায় ৮০ একর সম্পত্তির উপর ইতিহাসখ্যাত প্রজা হিতৈষী জমিদার দেবী চৌধুরানীর রাজবাড়ি। রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলা কার্যালয় ও পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের অনতিদুরে এ জমিদার বাড়ি অবস্থিত । পীরগাছার স্থানীয় লোকজন মন্থনার জমিদার বাড়িকে রাজবাড়ি বলে ডাকে ।

রাজবাড়ির চারি দিকে  ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দৃষ্টি নন্দিত ছোট বড় অনেক পুকুর । বাড়ির পিছনে ইতিহাসের কালের সাক্ষী হয়ে কোনমতে বেঁচে আছে দেবী চৌধুরানীর খননকৃত ঢুসমারা খাল  অর্থাৎ হঠাৎ বা অকষ্মাৎসৃস্টি । দেবী চৌধুরানী এ খাল দিয়ে নৌকাযোগে নদী পথে বিভিন্ন গোপন অবস্থায় যাতায়াত করতেন ।

বিশাল এলাকা নিয়ে ছড়ানো ছিটানো এ রাজবাড়ির অসংখ্য দালান আজ ধ্বংসপ্রায়। দালানের ইট,পাথর ও সুড়কি খুলে পড়েছে । দেয়ালের জীর্ণতা ও শেওলার অাঁচড়ে পরগাছা জন্মেছে । ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজবাড়ির নাট্য মন্দির ও কাচারী ঘরটি বর্তমানে পীরগাছা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজবাড়ির ভিতরে নির্মিত প্রাচীন মন্দিরগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। জমিদার জ্ঞানেন্দ্র নারায়ন রায় কর্তৃক নির্মিত অপূর্ব কারুকার্য মন্ডিত দেড় শতাধিক বছরের পুরানো দৃষ্টি নন্দিত ত্রিবিগ্রহ মন্দির ধ্বংসের অপেক্ষায় দিন গুনছে । এখানে অন্নপুর্ণ বিশেশ্বর, শিব ও হরিহর তিনটি বিগ্রহ এক মন্দিরের পাশাপাশি কক্ষে স্থাপন করা রয়েছে । বাংলার মন্দির দাম্পত্য ইতিহাসে এক অনন্য বিরল দৃষ্টান্ত ।


ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ও তাদের এদেশীয় অনুচর দেবী সিং এর অবর্ণনীয প্রজা পীড়নের বিরুদ্ধে তৎকালীন ভারতবর্ষে  প্রথম যে নারী অস্ত্র হাতে রক্তক্ষয়ী ফকির সন্যাসী ও ১৭৮৩ সালে রংপুরর প্রজা বিদ্রোহের নেতৃতে দিযেছিলেন সেই কিংবদন্তির অগ্নিকন্যা ছিলেন পীরগাছার মন্থনা জমিদার । মন্থনা জমিদার দেবী চৌধুরানীর আসল নাম ছিল ‘‘জয়াদুর্গা দেবী চৌধুরানী’’। সাহিত্য সম্রা্ট বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় তার রচিত আনন্দমঠ ও দেবী চৌধুরানীর নামে দু’খানা বই রচনা করেছিলেন।

এখানে প্রতি বছর হিন্দু সম্প্রদায় পূজা পার্বন পালন করেন । এ ছাড়াও এখানে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন অনুষ্ঠানাদি পালন কওে থাকেন । মড়হনা জমিদার জ্ঞানেন্দ্র নারায়নের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ১৯২৮খ্রিঃ একটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । যা পরে তার নামানুসারে জে এন উচ্চ বিদ্যালয় নাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয় সমাজসেবীদের প্রচেষ্টায় মন্থনা জমিদার রাজবাড়ী নামে রাজবাড়ী স্কুল প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে । ঐতিহাসিক মন্থনা জমিদার প্রতিষ্ঠিত রাজবাড়ীর সহানসমূহকে ঘিরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা সহজ হবে ।

১৫ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছা উপজেলা


পীরগাছা থানার প্রথম সৃষ্টি হয় ১৭৮৩ সালে এবং এ থানাকে উপজেলায় রুপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে । মোট পুরুষের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৪ শ ১৫ জন । মোট মহিলার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ২শ ২৯ জন । উল্লৈখযগ্য স্থানের মধ্যে রয়েছে মন্থনা জমিদার বাড়ি, ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি, চন্ডিপুরে মোঘল আমলের মসজিদ, চৌধুরানী বাজারে দেবী চৌধুরানী কর্তৃক খননকৃত দীঘি ।


পীরগাছার ইউনিয়ন ও গ্রাম
পীরগাছা উপজেলায় রয়েছে ৯টি ইউনিয়ন, ১শ ৭০ টি মৌজা ও ১ শ ৮৯ টি গ্রাম । ইউনিয়নগুলো হচ্ছে ১. কল্যাণী ২. পারুল ৩. ইটাকমুারী ৪. অন্নদানগর ৫. ছাওলা ৬. তাম্বুলপুর ৭. পীরগাছা ৮. কৈকুড়ী ও ৯. কান্দি ইউনিয়ন ।


পীরগাছার জনসংখ্যার পরিমাণ
মোট জনসংখ্যার পরিমাণ ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৬শ ৪৪ জন । মোট পুরুষের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৪ শ ১৫ জন । মোট মহিলার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ২শ ২৯ জন । জন্ম নিবন্ধিত জনসংখ্যার হার শতভাগ । স্যানিটেশন অর্জন ১০০% ।

পীরগাছার ভূ-প্রকৃতি ও আয়তন
সমতল, মানাস, আলাইকুড়ি, ঘাঘট ও তিস্তা পলল ভূমির অন্তর্গত । মোট আয়তন ২শ ৬৫.৩২ বর্গ কিঃমি, ১শ ২.৪৪ কিঃমিঃ । অবস্থান: ২৫°৩৩´ থেকে ২৫°৪৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১৮´ থেকে ৮৯°৩২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ । মোট জমির পরিমাণঃ ৪৯ হাজার ৫৩ হেক্টর । আবাদী জমির পরিমাণঃ ২০ হাজার ৬ শত ৩ হেক্টর । মোট খাস জমির পরিমাণ ২শ ৬৯.৪০ একর । জলমহালের সংখ্যা ১৮টি । জলাশয়ের আয়তন ৪শ ৬০ হেক্টর । বন ভূমির আয়তন ২শ ৪০ হেক্টর । উপজেলায় বহমান নদ-নদী গুলো হচ্ছে তিস্তা নদী, ঘাঘট ও বুড়াইল নদী । সীমানা উত্তরে কাউনিয়া ও রাজারহাট উপজেলা, দক্ষিণে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে উলিপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে রংপুর সদর ও মিঠাপুকুর উপজেলা ।


পীরগাছার প্রধান ফসল ও খাদ্য
উৎপাদিত প্রধান প্রধান শস্যগুলো হচ্ছে ধান, আলু, গম, ভুট্টা, পাট ও সরিষা । প্রধান খাদ্য ভাত, আলু ও মাছ ।


পীরগাছার যোগাযোগের ক্ষেত্র ও মাধ্যমসমূহ
রেল ও সড়ক পথ । মোট রাস্তার দৈর্ঘ্য ৫শ ৩০.৩৪ কিঃমিঃ । রেল পথ ২১ কিঃ মিঃ (অন্নদানগর, পীরগাছা ও চৌধুরানী) । সড়ক পথের মধ্যে পাকা রাস্তা ৮০.৪৮ কিঃ মিঃ ও কাঁচা রাস্তা ৪শ ৪৯.৮৬ কিঃ মিঃ । যোগাযোগের মাধ্যমসমূহ হলো ট্রেন, বাস, ট্রাক, রিক্সা-ভ্যান ও অটো । জেলা শহর থেকে উপজেলা সদরের দুরত্ব ৩০ কিঃ মিঃ ।


পীরগাছার স্বাস্থ্যসেবা
উপজেলায় হাসপাতালের সংখ্যা ১টি (৩১ শয্যা বিশিষ্ট) । এ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা ০১টি । কমিউনিটি ক্লিনিক মধ্যে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে ৪টি (পারূল, কৈকুড়ী, ইটকুমারী ও তাম্বুলপুর (পারুল ও তাম্বুলপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২টি ভগ্ন ও জরাজীর্ণ ব্যবহার অনুপোযোগী) ।


পীরগাছার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
এ উপজেলায় শিক্ষার হার ৪১.২১ % । ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় ৩টি, মহাবিদ্যালয় ৬টি ও স্কুল এন্ড কলেজ ১টি । মাদরাসা ৩৮টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪২টি, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭২টি, বেসরকারি রেজিষ্টার্ড ৭৭টি, সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা ৫টি, আলিম ২টি, দাখিল ৩৪টি ও স্বতন্ত্রএবতেদায়ী ৫৬টি (২টি অনুদান প্রাপ্ত) রয়েছে ।


পীরগাছার ঐতিহাসিক স্থানসমূহ
উল্লৈখযগ্য স্থানের মধ্যে রয়েছে মন্থনা জমিদার বাড়ি, ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি, চন্ডিপুরে মোঘল আমলের মসজিদ, চৌধুরানী বাজারে দেবী চৌধুরানী কর্তৃক খননকৃত দীঘি । রয়েছে শৈল্পনন্দিক শহীদ মিনার, শাপলা চত্বর, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে স্বাধীনতা চত্বর । উপজেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ হচ্ছে উপজেলা সদরের পূর্ব দিকে ১  কিঃ মিঃ অদুরে অবস্থিত মন্থনা বড় তরফ ও ছোট তরফ দেবোত্তর এস্টেট, ইটাকুমারী দেবোত্তর এস্টেট, দেবী চৌধুরানী দেবোত্তর এস্টেট ও পীরপাল এস্টেট ।


পীরগাছার অন্যান্য তথ্যসমূহ
হাট-বাজারের সংখ্যা ১৭টি (১৪১৯ বাংলা সালে সবগুলো হাট ইজারা প্রদান করা হয়েছে) । বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলারের সংখ্যা ১২ জন । অনুমোদিত সার ডিলারের সংখ্যা ০১ জন । উপজেলায় এনজিও’র সংখ্যা ১৫টি ।

পীরগাছায় মুক্তিযুদ্ধো
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সন্মুখ যুদ্ধে এ উপজেলার ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছে । এ ছাড়াও এ উপজেলায় রয়েছে নব্দীগজ্ঞ বধ্যভূমি ।

এছাড়াও রয়েছেন বেশ ক’জন কৃর্তিমান ব্যক্তি । যারা রাজনীতি, সাহিত্য ও সাংবাদিকতা পেশায় অমর হয়ে রয়েছেন ।

১৪ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছার পূর্বচন্ডিপুর গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাড়িতে অগ্নিকান্ড



পীরগাছার পূর্বচন্ডিপুর গ্রামে বাড়িতে অগ্নিকান্ড। থানায় মামলার প্রস্তুতি অপরাধীদের বিরুদ্ধে। পীরগাছার পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এর ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 এ ব্যাপারে আসহায় আলমগীর হোসেন, পিতাঃ আলহাজ্ব আমীর উদ্দিন বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় আবুল কাশেম সহ ৬ জনকে আসামী করে একটি এজাহার দাখিল করেছেন পীরগাছা থানায়। আলমগীর হোসেন গত ১৩ই অক্টোবর পীরগাছা বাজারে জনৈক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দুকে সাংবাদিকদেরকে তাদের বাড়িঘরে অগ্নিকান্ডের বিষয় অভিযোগে বিস্তারিত ঘটনা জানান। অগ্নিকান্ডের বিষয়টি নিয়ে যেহেতু মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেই মর্মে মামলার তদন্তকারী দারোগা তদন্ত সাপেক্ষে সরোজমিনে গিয়ে বিষয়টি মামলায় পরিণত করবেন আসামীদের বিরুদ্ধে।

আলমগীরের দেওয়া অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে আগামী সংখ্যায় সকল সাংবাদিকগন পত্রিকায় প্রকাশ করবেন বলে অসহায় মামলার বাদি সাংবাদিকদের নিকট দাবী জানান।

রিপোর্টারঃ তোজাম্মেল হক মুন্সি, ছবিঃ গুগল

১২ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাসি খাবার বিক্রয় করছে হোটেলের মালিকরা



পীরগাছার হাট বাজারে উপজেলা গেট সংগলগ্ন হোটেলের চায়ের চোকানে পচাঁ ও বাসি খাবার বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশি লাভের আশায় দ্বিগুন রুটি সামুছা, পরাটা, মোগলাই, জিলাপি, সিংগারা সহ বিভিন্ন আইটেমের মালামাল তৈরি করে হোটেলের মালিক।

রাত ১০ টার পরেও রাস্তার পাশের হোটেলগুলো সেই মর্মে অভিযোগকারীরা স্বচোক্ষে দেখে সাংবাদিকদের নিকট জানান, পচাঁ বাসি খাদ্য হোটেলে বিক্রয়ের বিষয়টি। উপজেলা গেট সংলগ্ন অধিকাংশই খাবারের দোকান স্বাস্থ্য সম্মত নয়। বিষয়টি প্রশাসনিক ভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তদন্ত করলে পচাঁ বাসি খাবার বিক্রয় থেকে বিরত থাকবে হোটেলের মালিকরা।

গোটা উপজেলায় অধিকাংশই হোটেল রেস্তারায় পচা বাসি খাবার দেদারছে বিক্রয় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অশিক্ষিত অধিকাংশ হোটেলের মালিক। তার চেয়েও বেশি অশিক্ষিত কর্মচারী মানুষ গুলো। স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী হোটেলে খাবার পরিবেশন করতে হলে ম্যাসিয়ার কারিগর থেকে আরাম্ভ করত কর্মরত সকলকে ডাক্তারি সাটিফিকেট থাকা আশু প্রয়োজন। পীরগাছার অধিকাংশ হোটেলে কর্মচারীদের কোন সাটিফিকেট নেই বলে জানা গেছে। স্যানেটারি ইনিসপেক্টর পীরগাছা আছে কিনা তাহা সাংবাদিকদের জানা নেই।

০৮ অক্টোবর ২০১৫

পীরগাছায় খুন করে লাশ বট গছে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যার সাজানো নাটক


পাওনা ৮০ হাজার টাকা চাইতে গিয়ে বালারদিঘি নামক পল্লীতে বৃদ্ধ শশুর জবেদ আলীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় বালারদিঘি বাজারে একটি গাছে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখে অপরাধীরা। জনমনে প্রশ্ন জবেদ আলীকে হত্যা করার পর আত্নহত্যা হিসেবে চালানোর জন্য তার মেয়ে জামাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

জবেদ আলীর বাড়ি পীরগাছা ইউনিয়নের অনন্তরাম খেরবাড়ি নামক গ্রামে। কয়েক শতক জমি বিক্রি করেছিল জবেদ আলী। উক্ত টাকা বালারদিঘির জামাইয়ের নিকট জমা রাখে। জমাকৃত টাকা চাইতে গিয়ে জবেদ আলীর এ পরিনতি। উপজেলা চেয়ারম্যান ইউপি চেয়ারম্যান, কান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সহ শত শত নারী পুরুষ গাছের ডালে ঝুলন্ত লাশ দেখে সন্দেহ করেন। বৃদ্ধ জবেদ আলী কিভাবে গাছে উঠবে এবং এই শক্ত রশি বাজারের মধ্যে কিভাবে বাধবে এমনকি আতœহত্যা করবে।

জনমনে প্রশ্ন হত্যাকান্ডের দিন জামাইয়ের দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের নির্দেশে সেকেন্ড অফিসার তাজুল ইসলাম, এস আই বেলাল, এস আই সাইদুর এলাকাবাসীর নিকট হত্যাকান্ডের বিষয় জবানবন্দি রেকর্ড করছেন।

লাশ গাছের মধ্যে ঝুলিয়ে রয়েছে শত শত মানুষ জবেদ আলীর লাশ ঝুলন্ত দেখে আফসোস করছেন। আগামী সংখ্যায় জবেদ আলীর হত্যার নেপথ্য কাহিনি পত্রিকায় তদন্ত সাপেক্ষে লেখা হবে। 

লাশ কেটে বস্তাবন্দি করে তিস্তা নদীর কচুরীপানার নিচে গুম


হত্যাকান্ডটি ঘটেছে পীরগাছার মিতা সিনেমা হলের সংলগ্ন সুপরিচিত মুখ মরহুম শহিদুল ভাংরির একমাত্র পুত্র রওশনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তিস্তা নদীর কচুরীপানার ভিতর থেকে। লালমনিরহাট থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধারের পর পকেটে থাকা মোবাইল নম্বর দেখে পীরগাছা থানায় অবগত করে।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে গত ৪ দিন পূর্বে রওশন ঈদের দাওয়াত খেতে শশুর বাড়িতে যায়। শশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় মোবাইলে খুনিরা ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ তিস্তা নদীতে কচুরী পানার ভিতর গুম করার চেষ্টা করে। লাশটি উক্ত এলাকার জনৈক ব্যক্তি দেখে ফেলে এবং পুলিশকে খবর দেয়। রওশনকে হত্যা করেছে লাশ পাওয়া গেছে এ সংবাদ হতভাগীনী মা, বোন, ভগ্নিপতি, নানী, মামা সহ আত্নীয় স্বজনদের মাঝে নেমে আসে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ কালিগঞ্জ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে।

শহীদুল ভাংরী অকালে চলে গেলেন একমাত্র সংসারের উপার্জনকারী পুত্র রওশনকেও ঘাতকরা কেড়ে নিলো। ঘাতকরা রওশনের হত্যাকারী কালিগঞ্জ এলাকা সহ শশুর এলাকার ঘাতকরাও সহযোগীতায় রয়েছে বলে বিভিন্ন বিজ্ঞ মহল মনে করেন। হত্যাকান্ডের নেপথ্য কাহিনি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বের হবে।

পীরগাছার কালিগঞ্জে ৩৫ বৎসর পূর্বের কবরের কফিন অক্ষত


একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা। ৩৫ বৎসর পর কবরের কফিন অক্ষত রয়েছে। পীরগাছার কালিগঞ্জ হারিয়ার পাড়া নামক গ্রামে তবারক আলী মেম্বারের পুকুরের পারে ৩৫ বৎসর পূর্বে তমিজন নেছা নামের ৮০ বৎসরের এক বৃদ্ধাকে কবরস্থ করা হয়। যে কোন কারনে কবরটি ভেঙ্গে গেলে কবরে থাকা কাফনের সাদা কাপড় দেখতে পাওয়া যায়।

তবারক আলী মেম্বার জানান ১৯৭৯/৮০ সালে তার সম্পর্কের বোন তমিজন নেছার মৃত্যু হলে পুকুর পারেই দাফন করা হয়। আল্লাহর মহিমা বুঝা বড় দায়। ৩৫ বৎসর পূর্বে কাপড়ের কফিন সহ সমস্ত শরীরে গঠন অবিকল অবস্থায় রয়েছে বলে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন একনজর দেখতে ভীর জমায়।

সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ কন্ডাকটার শত শত মানুষের ন্যায় এই অবিশ্বস্য ঘটনা স্বচক্ষে দেখেন। আজ শনিবার ৩রা অক্টোবর উক্ত কফিনটি পুনরায় উত্তোলন করে জানাযার মাধ্যমে নতুনভাবে কবরস্থ করা হবে বলে জানা গেছে।

পীরগাছার কিশোরীর সাথে হিন্দু যুবকের অবৈধ প্রেম

প্রেম মানেনা জাতি কুল।  পীরগাছার রত্না নামে এক কিশোরী হিন্দু সম্পদায়ের এক যুবককে মোবাইল প্রেমে জড়িয়ে পরেছে। হিন্দু ধর্মের যুবকের সহিত প্রেমের নেপথ্য কাহিনিকে ঘিরে জনমনে নানা প্রশ্ন নানা মত সৃষ্টি হয়েছে।

খোকন চন্দ্র, পিতাঃ ভুপেন চন্দ্র নাথ লালমনিরহাট থানার তিস্তা এলাকার রাজপুর গ্রামে এই হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবকটি দির্ঘদিন ধরে প্রেম ভালোবাসা। এক পর্যায়ে রত্নার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ৬ অক্টোবর বুধবার প্রেমিক খোকন চন্দ্র তার প্রেমিকার ডাকে সারা দিতে গিয়ে হাতে নাতে আটক হয় মেথনাপাড়া নামক গ্রামে।

প্রেমিক খোকন সাক্ষাতে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে সে অকপটে সত্য ঘটনা জানান, আমি রত্নাকে ভালোবেসেছি তাই আমি তাকে বিবাহ করব। এদিকে হিন্দু ধর্মের খোকন চন্দ্র প্রকাশ্যে মুসলমান ঘরের কিশোরী রত্নাকে বিয়ের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। প্রেমিক খোকন চন্দ্রের মোবাইলে তথা তার মোবাইল নম্বরে রত্নার মোবাইল নম্বর সেভ করা রয়েছে বলে সাক্ষাতে প্রেমিক খোকন চন্দ্র সাংবাদিককে জানান। জনমনে প্রশ্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন সাধারন পরিবারের যুবক প্রকাশ্যে এসে মুসলমান পরিবারের মেয়ের সঙ্গে ফসটি নসটির বিষয়টি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে সমালোচনা করছে। কোন একজন মুসলমান যদি হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে করত তবে উক্ত মুসলমান ঘরের সন্তানটির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতো দল মত নির্বিষেশে।

বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে এ প্রতিনিধি অবগত হন হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবক খোকন চন্দ্র বর্মনের যেন কোন ক্ষতি না হয় এর জন্য শতকরা ৯৯ ভাগ মুসলমান খোকনের পক্ষে কথা বলছে। অপরদিকে দোষারোপ করছেন সেই অবলা সরলা অসহায় দরিদ্র পরিবারের মুসলমান ঘরের কিশোরী মেয়েটির বিরুদ্ধে।

পীরগাছায় অবাধে হিন্দু মুসলমান ছেলেমেয়ের লীভ টুগেদার


পীরগাছার সুর্যের হাসি ক্লিনিকে সম্প্রতি কর্মরত একাউন্টেট একজন এমএ পাশ উচ্চ শিক্ষিত মুসলমান ঘরের মেয়েকে ধর্মকে ধামাচাপা রেখে দির্ঘদিন ধরে প্রেমের ছলনা করে মুসলমান পরিচয় দিয়ে পীরগাছার থানা সংলগ্ন একটি বাসা ভাড়া নিয়ে অবিবাহিত অবস্থায় স্বামী স্ত্রীর ন্যায় ঘর সংসার করে আসছিল। অথচ সেই ভদ্রলোক একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্ভ্রান্ত পরিবারের শিক্ষিত সন্তান।

বিষয়টি যে কোনভাবে সাংবাদিক অবগত হলে তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে জানতে চাইলে গোপনে গোপনে সাংবাদিকের চোখকে ফাকি দিয়ে বাসা ভারার বাসা ত্যাগ করে চাকুরি থেকে চলে যায়। আমাদের সমাজে যে ভাবে অনৈতিক কার্যকলাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশেষ করে ধর্মের বিষয় নিয়ে। কবির বাক্যে বলতে হয় প্রেম ভালোবাসা কখনো জাতির ভেদাভেদ বোঝে না, তাই প্রেম মানেনা জাতি কুল।

আপনার লাবন্যময় সুন্দরী কিশোরী স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েটিকে লক্ষ রাখার আশু প্রয়োজন, সে যেন কোন অর্ধামিক ছেলের সহিত মোবাইল প্রেমে আসক্ত হওয়া সহ কোন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে না পড়ে। আমাদের সমাজে দিন দিন অসামাজিক কার্যকলাপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। আমাদেরকে সাবধান হওয়া উচিত। ছেলে মেয়েদের শিক্ষার নামে যেন তারা কুশিক্ষায় জড়িত না হয়। এমনকি মুসলমান ঘরের কিশোরী মেয়েদেকে অন্য ধর্মের ব্যক্তিরা প্রেমের অভিয়ন করে ধোকা দিতে না পারে।